অনলাইন ডেস্ক:
শাম্মী আকতার মনির সাথে খুব অল্প দিনের পরিচয় এ বিয়েতে রাজি হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। শাম্মী আকতার পেশায় কিন্ডার গার্টেন স্কুল এর রিসেপশনিস্ট ছিলেন।
স্থানীয় মানুষ ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ঈশ্বরদী, পাবনায় অষ্টম শ্রেণিতে শিক্ষারত অবস্থায় পালিয়ে বিয়ে করেন সুমন নামের তারই খালাতো ভাইয়ের সাথে। তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ১৯৯৯ সালে।
২য় বিয়ে ২০০১ সালে, দ্বিতীয় বিয়ে করেন ঈশ্বরদীর আরেক ব্যবসায়ীর সাথে। পরবর্তীতে ২০০২ সালে চট্টগ্রামের স্থানীয় এবং ফুলবাড়িয়ার কয়লার ব্যবসায়ী এর সাথে বিয়ের পিড়িতে বসেন শাম্মী আকতার মনি। ২০০৩ সালে চতুর্থ বিয়ে করেছেন ঢাকায়। ৫ম বিয়ে করেন ২০০৫ সালে বিদ্যুতের লাইন ম্যান ইয়ামিন নামের একজন ব্যক্তির সাথে। মোঃ ইয়ামিন কুষ্টিয়া জেলার স্থানীয় বাসিন্দা। ৫ম স্বামীর সাথে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
২০১১ সালে একাধিক অনৈতিক সম্পর্কের রেশ ধরেই ৫ম স্বামীর সাথে ঘর ভাঙে রেল মন্ত্রীর ২য় স্ত্রীর।
স্থানীয়দের মতে, ২০১১ সালের বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই নানা লোকের সাথে মিশতে দেখা যায় শাম্মী আকতার মনিকে। সেলিম ভটকা নামক এক ব্যবসায়ী এবং কিছু চাইনিজ শ্রমিক দের সাথে ফুলবাড়িয়ার কয়লার খনির পাশেই তাকে অনৈতিক অবস্থায় পাওয়া যায়। যার জের ধরেই তার ভাইয়েরা শাম্মী আক্তার কে ঘর থেকে বের করে দেন। এছাড়াও স্থানীয়দের মতে, উনার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল একজন বিচারক, কয়েকজন সরকারী অফিসার এর সাথে। এবং উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় এর কিছু ছাত্রের সাথেও তার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল।
২০১৯ সালে, তিনি অসংখ্য মানুষকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেন।
পরিচয় জানাতে অনিচ্ছুক একজন সরকারী কর্মকর্তা জানান, টাকার জন্য তিনি আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে অনেক টাকা নেন, এরকম অসংখ্য মানুষের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে বলেও তিনি জানান। দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে চাকরির চেয়ে যোগাযোগ করেন শাম্মী আকতার মনি। শোনা গেছে, পরিবারের অগোচরে রাজনৈতিক স্বার্থের কারণেই দূর সম্পর্কের আত্মীয়রা অতি দ্রুত রেল মন্ত্রীর বিয়ের প্ররোচনা করেছেন।