বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বড় ভাই মোবাইল ভেঙ্গে ফেলায় অভিমান করে মৌসুমী আক্তার নামের এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সে কল্যাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ও সুঘাট ইউনিয়নের চকধিনাই এলাকার মোজাম হোসেনের মেয়ে।
বুধবার (৮ জুন) সকাল ৯টায় তার নিজ ঘর থেকে গলার ফাঁস দেয়া অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।
মা পারুল ও স্থানীয় মেম্বার নূরনবী মন্ডল জানান, গতকাল বিকেলের দিকে মৌসুমী আক্তারের বড় ভাই পারভেজ হোসেন মৌসুমির মোবাইল নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এ নিয়ে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে তার মা এসে মৌসুমী আক্তার ও ভাই পারভেজকে বকাবকি করে। রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল ৬ টার দিকে মৌসুমী ঘুম থেকে না উঠায় মা মৌসুমিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য দরজায় গিয়ে ডাক দেয়। অনেক ডাকাডাকির পর কোন সাড়া না পেয়ে মা জানালা দিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলতে দেখতে পায়। মা পারুলের চিৎকারে মৌসুমির দাদা আইজুদ্দিন সহ আত্মীয়-স্বজন আসে। তখন তারা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম জানান, এসআই হাসান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।