মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও থেকে:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চিলারং ইউনিয়নে ভুয়া দলিল দেখিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে আতিকুর রহমান সহ তার গংদের বিরুদ্ধে। জমির মালিক জমিতে গেলে মোস্তাফা ও তার পেটুয়া বাহিনী ধাওয়া করেন এবং মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আতিকুর রহমান চিলারং ইউনিয়নের আখানগর বাজারের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিক প্রফুল্ল রায় বলেন, আমার দাদা মথুর নার্থ নামে সিএস রেকর্ড আছে। দাদার ভোগ দখলকারী থাকা অবস্থায় মারা গেলে তার তিন ছেলের নামে এসএ খতিয়ানে প্রকাশিত হয়। উক্ত জমি আমরা খারিজ খতিয়ান করে নিয়েছি এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছি। জমিটি আমাদের বাড়ি হইতে ৫ কিলো দুরে হওয়ার কারণে গোলাম মোস্তফার বাড়ির সন্নিকটবর্তী হওয়ায় তারা বর্গা আবাদ করতো। কিন্তু একদিন রাতে অন্ধকারে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা শুরু করে। এরই মধ্যে তারা গোপনে একটি ভূয়া দলিল তৈরী করে আমাদেরকে তাড়িয়ে দেয় এবং এ কথাও বলে যে আমরা যদি ঐ জমি দখলে যাই তবে প্রাণে মেরে ফেলবে। আমরা ভীত হয়ে রবিবার (২৬জুন) তাদের নামে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আতিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে চিলারং ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত নিয়ে ঝামেলার কথা শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ওসি কামাল হোসেনের যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আখানগর বাজারে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে জমি দখলের একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা স্থলে পুলিশ গেছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেছেন, উক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তি এর পূর্বে বহু মানুষের জমি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ভোগদখল করছেন। এ ধরনের ভুক্তভোগীরা হলেন লুৎফর রহমান, দর্শন, সাইফুল, টুলু, আশরাফ মেম্বার সহ আরও অনেকে। সচেতন মহলের অভিযোগ মোস্তফা গংদের দৌরাত্ম না কমালে এখানকার মানুষের জীবন যাপন দুষ্কর হয়ে পরবে।