সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ ১:১৪ অপরাহ্ণ
সর্বশেষ সংবাদঃ

বস্তাবন্দি মাদ্রাসাছাত্রী উদ্ধারের ঘটনায় অপহরণ মামলা

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও শহরের টাঙন নদী থেকে বৃহস্পতিবার উদ্ধারকৃত বস্তাবন্দি জীবিত মাদ্রাসার ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ওই নারীর বড়ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন।
শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন। ওসি কামাল হোসেন বলেন, ওই নারীর বড় ভাই বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন। এতে মামলার প্রধান আসামি করা হয় ওই নারীর কথিত স্বামী সাহাবুল ইয়ামিনকে। এছাড়াও আসামি করা হয় সাহাবুল ইয়ামিনের বাবা মোঃ আমির হোসেন,তার মা ও গুলজান বেগম নামের এক মহিলাকে।
ব্রিজের নিচে থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধারকৃত মাহফুজা খাতুনের বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামে। উদ্ধারের পর ওই তরুণী বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়িতে গুলজান নামের এক মহিলা ভাড়া থাকতেন। তিনি গোপনে আমার কিছু খারাপ ছবি তুলে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন। আমাকে পাচার করে দেওয়ার হুমকি দিতেন। বিষয়টি আমার পরিবারকে জানালে তাদের পরামর্শে মে মাসের শেষদিকে ঠাকুরগাঁও শহরের একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হই। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য অজু করতে বের হই। অজু শেষে দেখি চারজন ছেলে আমার সামনে দাঁড়িয়ে। তারা বলে, ছবিগুলো নিতে চাইলে হাত বাড়াও। আমি হাত বাড়ানো মাত্রই তারা আমাকে ধরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে বস্তায় ঢুকিয়ে ফেলে। তারপর তারা আমার সাথে কী করেছে তা বলতে পারি না।
মাদ্রাসার এক শিক্ষিকা বলেন, ফজরের নামাজে যখন তাকে পাওয়া যায়নি, তখন তাকে মাদ্রাসার সবখানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। ভোরে জানতে পারি বস্তাবন্দি মরদেহ নদীর ধারে পড়ে আছে। তখনও আমরা জানি না সে আমাদেরই ছাত্রী। পরে একজন ছবি দেখালে আমরা নিশ্চিত হই। তার সঙ্গে কী ঘটছিল তা আমরা জানতাম না। এমনকি সে যে বিবাহিত, সে খবরও গোপন রেখেছিল সে।
মামলার বাদী বলেন, আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতেন গুলজান বেগম। তিনি কুপরামর্শ দিয়ে আমার বোনকে গ্রামের সাহাবুল ইয়ামিন নামের এক কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। তিনিই ইয়ামিনকে গত রমজান মাসে একদিন সেহেরির পর আমার বোনের ঘরে ঢুকিয়ে দেন। সে সময় পরিবারের লোকজন ইয়ামিনকে আটক করলে, পরে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় তার সঙ্গে আমার বোনের এভিডেভিড করে বিয়ে হয়।
তিনি আরও জানান, অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বোনের বিয়ের খবর গোপন রেখে তাকে বাড়ি থেকে দূরে রাখার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। এসব ঘটনার জেরেই গুলজান, ইয়ামিন ও তার বাবা-মা মিলে আমার বোনের সাথে এমন করেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চলছে।

Check Also

নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নওগাঁ প্রতিনিধি: বেসরকারী কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *