মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও থেকেঃ
শুক্রবার রাত ৯.৩০ থেকে শুরু হয় পেট্রোল ও অকটেন সংগ্রহ করার যুদ্ধ। চৌধুরী এন্ড সন্স লিঃ পেট্রোল গিয়ে রাত ১০ টায় দেখা বাইক চালকদের তেল দিচ্ছেন কিন্ত অনেক মানুষের সমাগম দেখে ম্যানেজার সার্কিট ব্রেকার ফেলে দিয়ে কর্মচারিদেরকে সরে যেতে বলেন।
তার কিছুক্ষণ পর পেট্রোল পাম্পের মেইন সুইচ বন্ধ করে পুরো এলাকা অন্ধকার করে দেন। এদিকে কিছু কিছু পাম্পে ১-২ ঘন্টা অপেক্ষার পর পেট্রোল পাচ্ছেন ১০০ টাকার। কিন্তু পাম্প মালিকের ক্ষমতার অপব্যবহার কারণে, তাদের নিজেদের আত্মীয়-স্বজন, বিভিন্ন ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের, নিজেদের ইচ্ছামত পেট্রোল দিচ্ছেন। এ কারণে অনেকে পাচ্ছেন না পেট্রোল।
ঠাকুরগাঁও জেলার পেট্রোল পাম্প গুলো রাত ১২টা বাজার সাথে সাথেই বন্ধ করে দিয়েছেন বাঁধন কাঁকন, সুরমা ফিলিং স্টেশন,কাদের এন্ড সন্স,সুপ্রিয়, এনামুল পাম্প, রাহবার পাম্প, মির্জা পাম্প সহ সবগুলো পেট্রোল পাম্প । এতে অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোনো লাভ হয়নি তাদের। এ ব্যাপারে বাইক চালক শিক্ষক রাজিউর রহমান রাজু বলেন, এভাবে হঠাৎ করে আমাদের মাথার উপর এত চাপ দিলে কিভাবে সংসার চলবে, এমনি জিনিসপত্রে যে দাম তাতে দম বন্ধ হয়ে আসছে।
হাজীপাড়ার নাসিম বলেন,আমি রাত ১০.০০ টায় চৌধুরী পাম্পে তেল নিতে এসে দেখি পাম্প বন্ধ, শেষমেষ রাত ১ টায় ওসির তত্ত্বাবধানে ৫০০ টাকার তেল পেয়েছি।
ঠাকুরগাঁও জেলার অনেক বাইকার বলেন, পেট্রোলের দাম হঠাৎ এমন ভাবে বাড়লে আমাদের জন্য বাইক চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। তাই আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।