ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিপুর মাহাতপাড়া গ্রাম (ডিমাপাড়ী) রাঁধারদীঘিতে বৃহস্পতিবার বিকাল চারটায় দিকে প্রতারক মতিউর ইসলাম (৪২)সহ তার গংদের অতর্কিত হামলায় ৪ জন গুরুতর জখম এবং বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন (১) তৌহিদুল ইসলাম(২৯), যার মাথায় ৪ টি সেলাই এবং হাতে ১টি সেলাই এবং গায়ে আঘাতের চিহ্ন দৃশ্যমান। (২) সিরাজউদ্দীন (৬৩),যার মাথায় আঘাত এবং ৪ টি সেলাই পড়েছে। (৩) মোঃ আনসারুল (২২),যার মাথায় গুরুতর জখম ৫ টি সেলাই এবং গায়ে প্রচুর আঘাতের চিহ্ন।
জানা যায়, উক্ত গ্রামের মতিউর রহমান একজন মাস্তান ও প্রতারক শ্রেণির মানুষ। গ্রামের সহজ সরল বেকার যুবকদের চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া তার স্বভাব। ঠিক তেমনি আনসারুল নামে এক যুবকের কাছে প্রাইমারি স্কুলের এম.এল. এস.এস পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৬ লক্ষ টাকা দুই বছর আগে হাতিয়ে নেয় কিন্তু অদ্যবধি উক্ত যুবককে চাকুরী দেওয়া তো দুরের কথা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। উক্ত টাকার জন্য ধুরন্ধর মতিউরের কাছে গেলে বিকাল চারটা দিকে দেশীয় ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে এতে ৩ জনের মাথা ফেটে যায় এবং একজন মহিলার হাত ভেঙে দেয়। গায়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকলে দু জন জ্ঞান হারায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে দ্রুততম সময়ে বালিয়াডাঙ্গী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন, পরে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত গতিতে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ত্রাসী মতিউর এর পূর্বে ৪/৫ মাস আগেই তাদেরকে মারধর করেছেন।
সিরাজউদ্দীন বলেন, উক্ত মতিউরসহ, লুৎফর, রবিউল, সোহাগী,সোহাগ, আরজিনা হঠাৎ করে আমাদের উপর আক্রমণ করে, আমরা মুলত পাওনা টাকা আদায়ের জন্য গিয়েছিলাম। তিনি আরও বলেন, ভিটেমাটি জোর করে তারা দখল করে আছে, সেটার কথা বলতে গেলে তারা বিভিন্ন সময় গালিগালাজ ও ঝগড়াঝাটি করেন।
প্রতিবেশী দাইমন হক বলেন, মতিউর একজন ঠকবাজ ছেলে, সে অনেক মানুষকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিঃস্ব করে দিয়েছেন, আমি তার বিচার চাই।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের মেডিকেল অফিসার বলেন, তিনজন রোগীর মাথার জখমগুলো গুরুতর, যেহেতু প্রত্যকের মাথায় ৪/৫ টা করে সেলাই পড়েছে,তবে সাতদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবে।