ন্যাশনাল ডেস্ক:
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যাসায়ীদের সাথে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় সাত শ’ মানুষকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিস্ফোরণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাওপোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেয়ার অভিযোগ দুটি মামলা করেছেন নিউ মার্কেট থানার এসআই মেহেদী হাসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির।
আর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়ার চাচা মোঃ সাঈদ হত্যার অভিযোগ এনে অন্য মামলাটি দায়ের করেছেন।
নিউ মার্কেট থানার এসআই শাহ আলম বলেন, বুধবার রাতেই মামলা তিনটি রেকর্ড করা হয়। আসামি সব অজ্ঞাত। মেহেদী হাসানের মামলায় আসামি ১৫০ থেকে ২০০ জন, ইয়ামিন কবিরের মামলায় আসামি ২০০ থেকে ৩০০ জন এবং সাঈদের মামলায় আসামি ১৫০ থেকে ২০০ জন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বাধে। রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ তিন ঘণ্টা ধরে চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এর পর মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। বুধবারও ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের শতাধিক আহত হন। এদের মধ্যে নাহিদ মিয়া নামের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণকে রাস্তার ওপর কোপানো হয়।
এলিফ্যান্ট রোডের ডাটা টেক কম্পিউটার নামের একটি দোকানের ডেলিভারি অ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন নাহিদ। ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশের করা সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাহিদের মাথার বাম পাশে পাশাপাশি চারটি কাটা জখম ছিল, জখমগুলো দুই থেকে সাড়ে তিন ইঞ্চি লম্বা। চারটি জখমে ২৩টি সেলাই দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
পিঠের বাম পাশে পাশাপাশি তিনটি কাটা জখম। যার প্রত্যেকটি পাঁচ ইঞ্চি করে লম্বা। বাঁ পায়ের গোড়ালির নিচে কাটা জখমেও পাঁচটি সেলাই লেগেছিল, এছাড়া উভয় পায়ের বিভিন্ন জায়গায় নীল-ফোলা কালা জখম ছিল। নাক, মুখের ছোলা জখম ছিল।
মঙ্গলবার সংঘর্ষের মধ্যে ইটের আঘাতে আহত মোরসালিন নামের এক দোকান কর্মচারীও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বৃহস্পতিবার ভোরে। এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি থানায়।