অনলাইন ডেস্ক:
ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জার্মান জনগণ দ্বিধায় ভুগছেন। ইউক্রেনে ট্যাংক সরবরাহ এবং জার্মানিতে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণের কারণে দেশটিকে যুদ্ধে যেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মান জনসাধারণের প্রবল চাপের পরে জার্মান সরকার গত সপ্তাহে ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানো ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার একদিন পরে বামপন্থি ক্ষমতাসীন জোট সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস, গ্রিন পার্টি এবং নিও লিবেরাল ফ্রি ডেমোক্র্যাটস তাদের প্রধান বিরোধী পক্ষ ডানপন্থি ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটসদের সঙ্গে এক হয়ে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।
জরিপ সংস্থা ইনফ্রাটেস্ট ডিমাপ ১৩০০ জার্মান ভোটারের ওপর জরিপ চালায়। যেখানে দেখা গেছে তাদের মধ্যে ৪৫% মানুষ ইউক্রেনে এই ভারী অস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন। জরিপকৃতদের মধ্যে ৫২% জনগণ রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের আশা করেন।
গত ২৯ এপ্রিল নারীবাদী ম্যাগাজিন ‘এমা’র ওয়েবসাইটে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসকে উদ্দেশ্য করে একটি খোলা চিঠি প্রকাশিত হয়। সেখানে ২৮ জন জার্মান সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব সই করে ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র না পাঠানোর আহবান জানান।
ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের এই সিদ্ধান্তের কারণে চ্যান্সেলর শলৎস জনগণের সমর্থন হারাচ্ছেন। ইনফ্রাটেস্ট ডিমাপের জরিপ অনুযায়ী জরিপকৃত প্রায় অর্ধেক জনগণ শলৎসের সিদ্ধান্তে সমর্থন দিচ্ছেন না।
গণমাধ্যম সংস্থা এআরডিতে প্রকাশিত এক জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫৪% জনগণ জানান, তারা রাশিয়ান গ্যাস এবং তেলের আমদানি ক্রমান্বয়ে বন্ধ করতে চাইছে, যেখানে সরকার যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়ার জ্বালানি শক্তির বিকল্প খোঁজার দিকে কাজ করছে। এর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সরকারের অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে