ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ৩ পুত্র সন্তানের এক জননী ৭ মাসের অন্তঃসত্তা হয়েছেন সেলিনা বেগম(২৮) নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী গৃহবধু । জোর পুর্বক ধর্ষনের ফলে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন ওই গৃহবধু। অন্তঃসত্তার ঘটনায় গৃহবধু মানুষের দ্বারে দ্বারে বিচার চেয়ে না পেয়ে অবশেষে প্রতারক ধর্ষকের বিরুদ্ধে দিনাজপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
আদালতের মামলা সুত্রে জানা গেছে, ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোঃ সুলতান আহম্মদ ৩ পুত্র সন্তানের জনক, স্ত্রী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মোছাঃ সেলিনা বেগম(২৮) ৩ পুত্র সন্তানের জননী। অধিক জনসংখ্যার কারনে প্রতিবন্ধী মোঃ সুলতান আহম্মদ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেন। গৃহবধু মোছাঃ সেলিনা বেগম(২৮) প্রতিনিয়ত বাড়ির পাশে করতোয়া নদীর চরে ছাগল চরাতে যান। একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত, কুমুর উদ্দিনের পুত্র মোঃ গোলবাহার আলী (৫০) তাকে একাকি পেয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে সে অসম্মতি জানায়। প্রায় ৭ মাস পুর্বে গত ১০/১০/২০২১ইং তারিখে প্রতি দিনের ন্যায় ছাগল চরাতে গেলে গৃহবধু সেলিনা বেগমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে। ভয়ভীতি দেখানোর ফলে গৃহবধু ধর্ষনের ঘটনা গোপন রাখেন। এর পর ধর্ষক গোলবাহার গত ২০/১০/২০২১ইং তারিখে একইভাবে বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে গিয়ে মুখে গামছা গুজিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। ফলে গৃহবধু সেলিনা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়ে। গৃহবধু সেলিনা ধর্ষনের ঘটনা স্বামী ও বাড়ির লোক জন এবং গ্রামবাসীকে জানায়। তাকে শারীরিক পরীক্ষা করা হলে অন্তঃসত্তা ঘটনা প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে গোলবাহার ও তার লোক জন ঘটনার বিষয়ে আপোষ মিমংসার প্রস্তাব দিয়ে টালবাহানা করে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। আপোষ মিমাংসা না হওয়ায় গৃহবধু স্থানীয় চেয়ারম্যান দ্ভারা আপোষ মিমাংসায় চেষ্টায় ব্যর্থ হয়।
গৃহবধুকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৪/০৪/২০২২ইং তারিখে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্তা দেখতে পায় । আপোষ মিমাংসায় ব্যর্থ হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। গত ২৭/০৪/২০২২্ইং তারিখে প্রতিবন্ধী গৃহবধু সেলিনা বেগম প্রতারক ধর্ষক গোলবাহার আলীর বিরুদ্ধে দিনাজপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।