মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁও জেলায় কয়েক দফায় কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ভুট্টা চাষীরা। গত ২৯ শে এপ্রিল রাত ১২টায় বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে জেলার হাজার হাজার হেক্টর জমির ভুট্টাক্ষেত মাটিতে নুইয়ে পড়ে। এতে ডাটা অবস্থায় ভুট্টা মাটিতে নুইয়ে পড়াতে স্বাভাবিকের তুলনায় ফলন অর্ধেকে নামবে।
জেলায় পাইনিয়র-৩৩৫৫,লালতীর, ব্র্যাকসীড-২৯৩,২৯৯,সম্রাট, এলিট সহ আরও অনেক প্রকারের ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সদরের ফেলানপুর গ্রামের খালেদ আল মাসুদ জানান, এ বছর আমি ৭ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি, কিন্তু কালবৈশাখীর ছোবলে সব শেষ হয়ে গেছে। আরাজী ঝাড়গাঁও গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, আমার ক্ষেতের সবগুলো ভুট্টা মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে, কিভাবে ক্ষতি পুষিয়ে উঠবো বুঝতে পারছিনা। এদিকে পীরগজ্ঞ উপজেলার কৃষ্টপুর গ্রামের মোক্তারুল ইসলাম জানান, আমার ১০ বিঘা জমির ভুট্টা ডাটা অবস্থায় মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। এতে আমি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মতে, এবার জেলা জুড়ে রবি ভুট্টার চাষ হয়েছে ৩৩ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে এবং গ্রীষ্মকালীন ভুট্টা ১৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে। যার মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৮৭ টন। এখন পর্যন্ত রবি ভুট্টা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮১ হাজার ৮৩৪ মেট্রিক টন। গ্রীষ্মকালীন ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৩৯ টন। তবে কালবৈশাখীর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রীষ্মকালীন ভুট্টা ।
কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঝড়ে চুড়ান্ত ক্ষতির হিসাব দেখানো হয়েছে ৬৪২ হেক্টর জমির। জেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হোসেন জানান,এবার কয়েক দফায় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এতে জেলার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে।