স্পোর্টস রিপোর্টার:
সফরকারী শ্রীলংকাকে ৩৯৭ রানে অলআউট করে প্রথম ইনিংসে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ কোন উইকেট না হারিয়ে ৭৬রান। তামিম ইকবাল ৩৯ এবং মাহমুদুল হাসান জয় ৩১ রান।
এর আগে শ্রীলংকার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৯৭ রানে। ম্যাথিউস ৩৯৭ বল খেলে ১৯টি চার ও একটি ছক্কায় এ রান করেন। ১০৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন নাঈম হাসান।
চা বিরতি পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ৩৭৫ রান। সেখান থেকে সফরকারী দলকে চার’শ রানের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব ম্যাথিউসের। শক্ত প্রতিরোধ গড়ে দলকে শেষ পর্যন্ত টেনেছেন তিনি। বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন নাঈম হাসান। ১০৫ রানে ৬ উইকেট নেন তিনি। এটা তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ৫ উইকেট ও সেরা বোলিং ফিগার। সাকিব আল হাসান ৬০ রানে নেন ৩ উইকেট।
সকালে সাগরিকায় ৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে খেলতে নামে ম্যাথুস ও চান্দিমাল। দিনের শুরু থেকে শাসন করে গেছেন তারা। তাদের দুজনের জুটিতে প্রথম সেশনেই ৩০০ ছাড়ায় লঙ্কানদের স্কোর। প্রথম সেশনে কেবল দুটি উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান ফিরিয়েছেন দিনেশ চান্দিমালকে। ৬৬ রানে তার প্রতিরোধ ভাঙেন নাঈম। এরপর ব্যাট করতে নামা নিরোসান ডিকওয়েলাকেও আউট করেন নাঈম।
লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত লঙ্কানদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ৩২৭ রান। বিরতি থেকে ফিরে দলের স্কোরবোর্ডে এক রান যোগ করতেই রামেশ মেন্ডিস ও এম্বুলদেনিয়াকে ফেরান সাকিব আল হাসান।
এরপর ফার্নান্দোর সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ম্যাথুস। দুজনে মিলে গড়েন অপ্রতিরোধ্য ৪৭ রানের জুটি। এরপর শরিফুলের করা বল ফার্নান্দোর হেলমেটে আঘাত করলে রিটায়ার্ড হার্ট হন তিনি। ম্যাথুসের ডাবল সেঞ্চুরির পথে সঙ্গ দেয়ার জন্য আবারও ব্যাট করতে নামেন বিশ্ব। দেখে-শুনেই খেলছিলেন ম্যাথুস। কিন্তু ১৯৯ রানে নাঈমের বলে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন তিনি। ৩৯৭ বলে খেলা তার ১৯৯ রানের ইনিংসটি ১৯টি চার এবং একটি ছয়ে সাজানো।