অনলাইন ডেস্ক:
চতুর্থ দিন শেষ সেশনে দুই উইকেট, শেষ দিন প্রথম সেশনে দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন ভোজের পরই দুই উইকেট নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ের সম্ভবনা জাগান তাইজুল ইসলাম। কিন্তু পরের সময়টা দুর্দান্ত দৃঢ়তা দেখিয়েছেন দিনেশ চান্দিমাল ও নিরোশান ডিকওয়েলা। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে দিনের খেলা ১৫ ওভার থাকতেই ড্র মেনে নিয়েছে দুই দল।
দুই টেস্টের সিরিজের প্রথমটিতে প্রথম ইনিংসে ৬৮ রানের লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন দুই উইকেট হারিয়ে ২৯ রানে পিছিয়ে ছিল সফরকারীরা। রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের লক্ষ্য ছিল শেষ দিন দ্বিতীয় সেশনের মধ্যে লঙ্কানদের আটকে দেওয়া। নাগালের মধ্যে রান রেখে শেষ সেশনে জয়ের চেষ্টা করা। ওই পথ তৈরি করেও শেষ টানতে পারেননি মুমিনুলরা।
এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানরা টস জিতে ব্যাট করে ৩৯৭ রান তোলে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯৯ রান করেন অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল হতে এক রান দূরে থাকতে পূর্ব পরিকল্পিত শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। প্রথম ইনিংসে লঙ্কান টপ অর্ডার ব্যাটার কুশল মেন্ডিস (৫৪) ও দিনেশ চান্দিমাল (৬৬) ফিফটি তুলে নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে ৪৬৫ রান করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল খেলেন ১৩৩ রানের ইনিংস। প্রচণ্ড গরমে হাতে ক্রাম্প করায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে উঠে যান তিনি। পরদিন ব্যাটে নামলেও ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরিটা সামনে এগিয়ে নিতে পারেননি। পাঁচ হাজার থেকে ১৯ রান দূরে থাকতে আউট হন।
মুশফিক খেলেন ১০৫ রানের ইনিংস। ধৈর্যর দুর্দান্ত পরীক্ষা দেন। মাত্র চারটি চারের মারে তিনশ’ ছোঁয়া বল খেলে সেঞ্চুরির আগে দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে পাঁচ হাজার রানের কীর্তি গড়েন ডানহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। এছাড়া তরুণ ওপেনার জয় খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরির পথে থাকা লিটন দাস ৮৮ রান করে ফিরে যান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ রানে দুই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর জুটি হলেও ১০৬ ও ১১০ রানে হারায় উইকেট। আবার দাঁড়ায় জুটি। কিন্তু তাইজুল ১৪৩ ও ১৬১ রানে ধাক্কা দিয়ে দলকে ঠিক পথে রাখেন। শ্রীলঙ্কার লিড তখন একশ’ হয়নি। কিন্তু ওই জায়গা থেকে আর পা হড়কায়নি শ্রীলঙ্কা। ডিকওয়েলা ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। চান্দিমাল ধীরে খেলে করেন ৩৯ রান। তাদের ৯৯ রানের জুটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে ২৬০ রান করলে ড্র মেনে নেয় দুই পক্ষ।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান। তিন উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে নাঈম-সাকিব সুবিধা করতে না পারলেও তাইজুল তুলে নেন চার উইকেট। শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রথম ইনিংসে বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন বদলি নামা কাসুন রাজিথা তুলে নেন ৪ উইকেট। অসিথা ফার্নান্দো নেন ৩ উইকেট। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে শুরু হবে ২৩ মে।