ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে হেলমেট না পরার দায়ে জরিমানা করায় পুলিশের জরিমানা আদায়ের ট্রাফিক প্রসিকিউশন মেশিন ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক মোটরসাইকেল আরোহীর বিরুদ্ধে। রোববার(২২ মে) দিকে পৌর শহরের রোড বালিয়াডাঙ্গী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বিকাশ রায়(৩২) পেশায় ঠাকুরগাঁওয়ের সালাম বিহারী অটো রাইস মিলের ট্রাক চালক।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মুনাজ্জিম বলেন, অভিযান চলছিল। আমরা আইনের কাজ করতে গাড়ি আটক করেছিলাম। এসময় হেলমেট বিহীন এক মোটরসাইকেল আরোহীকে আমরা আটক করে মামলা দিতে চাই। এতেই তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। আমার হাতে থাকা ক্রসমেশিনটি তার হাতের থাবায় মাটিতে পড়ে গিয়ে ভেঙ্গে যায়। অভিযুক্ত হেলমেট বিহীন বাইক আরোহী বিকাশ রায় বলেন, আমি বাসা থেকে মিলে যাচ্ছিলাম গাড়ি বের করতে। হেলমেট না থাকায় পুলিশ আটক করে। আমি তাদেরকে ভুল স্বীকার করলেও তারা ছাড়েনি। পুলিশ বলছে তাদের হাতে থাকা মেশিনটি আমার কারনে ভেঙ্গেছে। পুলিশ মেশিন না সামলাতে পারলে আমার কি দোষ। এদিকে অভিযুক্ত বিকাশ রায় ঠাকুরগাঁও মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য হওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় জেলার মটর শ্রমিকরা।
জানাগেছে, জরিমানা আদায়ের ‘ক্রস মেশিন’ ভেঙ্গে যাওয়ার পর পুলিশ হেলমেট না পরা শ্রমিককে আটক করার চেষ্টা করলে মোটরশ্রমিরা প্রায় ২ ঘণ্টা ট্রাক্টর দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে, সৃষ্টি হয় কয়েক কিলোমিটারের যানজট। এ সময় সবচেয়ে দুর্ভোগের শিকার হয় রোগীবাহি এম্বুলেন্স, স্কুলগামী কোমলমতি শিশুরা। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ মানুষদের পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, চারদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারনে আমরা অসহায় বোধ করছি। আমাদের আবেগটা বুঝেনি তারা। জরিমানার টাকা আমরা কোথায় পাবো। জেলার শ্রমিক নেতা সোহেল রানা বলেন, পুলিশের সাথে শ্রমিকদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা সকলে মিলে সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের কয়েকটি পিকআপ আসলে শ্রমিকরা আরও ক্ষুদ্ধ হয়। শ্রমিককে ছেড়ে দেয়ার স্লোগান দিতে থাকে তারা। এ সময় ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তানভীরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷
ওসি জানান, শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে শ্রমিকের গাড়ি আটক করা হয়েছিল। তার একজন পরিবারের সদস্য হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। যার কারনে তিনি মেজাজ হারিয়েছিলেন। বর্তমানে পরিস্থিতি ঠিক রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে পুলিশ।