মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও থেকে:
ঠাকুরগাঁও জেলায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে প্রশান্তির হাসি ফুটেছে। মরিচ চাষে কৃষকের পাশাপাশি দিনমজুর ও ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন। ঠাকুরগাঁও জেলার ঢোলারহাট, শিবগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, ভাউলার হাট, দেবীগঞ্জ, আরাজী ঝাড়াগাঁও, ভেলাজান, রুহিয়া, বালিয়াডাঙ্গী, খোচাঁবাড়ী,চাড়োল, রামনাথ সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর বিস্তীর্ণ জমিতে মরিচের আবাদ করা হয়েছে । লাল-সবুজের গালিচা চারিদিকে চোখে পড়ে।
নিত্যদিনের কাজে ব্যস্ত কিষাণ-কিষাণীরা। কেউ মরিচগাছের পরিচর্যা করছেন, কেউ মরিচ তুলছেন, আবার কেউবা বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় মরিচ চাষীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। আবার যাদের জমি নেই, তারা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে মরিচ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
চলতি মৌসুমেও কৃষকের কাছ থেকে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিঘাপ্রতি মরিচ কিনে পাইকাররা বিঘাপ্রতি ৩ থেকে ৫ গুন লাভ করছেন। সদর উপজেলার ভাউলার হাটসহ অন্যান্য হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে প্রতি মণ শুকনো মরিচ ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দিকে কাঁচা মরিচের চাহিদাও ব্যাপক, তাই এলাকার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী পাইকার চোখে পড়ে। কাচাঁ মরিচের মণ ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকার মরিচচাষী গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ বছর সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছিলাম। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘাতে ১ থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবো আশা করছি।
অপরদিকে রুহিয়া কুজিশহর এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রবি বলেন, এ বছর শুকনা মরিচ ৮ হাজার টাকা মন বিক্রি হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আরাজী ঝাড়গাঁও গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ জানান, ক্ষেত থেকে মরিচ এনে সরাসরি বিক্রি করে ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে,এতে পরিবহনের খরচও সাশ্রয় হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও জেলায় ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে উচ্চ মূল্য থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আমরা প্রত্যেক কৃষককে সার, বীজসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সহায়তা করেছি।