অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রয়েছে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই মুহূর্তে মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতার বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান ‘নো এক্সিউজ’। এসব ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিকাব) আলোচনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। নির্বাচন, মানবাধিকার, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও নতুন অর্থনৈতিক জোট নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিকাব এ আলোচনার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ থেকে বের হতে হলে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে না এর নিশ্চয়তা দিতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। এছাড়া যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সে বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং সরকারের ভূমিকা পরিষ্কার করতে হবে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো নয়। কারণ হিসেবে তিনি দেখান-বাংলাদেশে মাইক্রো ফিন্যান্স শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে। চীনের প্রতি সামান্য নির্ভরশীলতা রয়েছে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, বিশ্ব ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল। গত পঞ্চাশ বছরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বড় বন্ধু ছিল, আগামীতে থাকবে।
পিটার হাস বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং বিষয়গুলো নিয়ে বলেন, সুশাসন, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন দায়িত্ব পালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।