অনলাইন ডেস্ক:
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমনসহ গণতন্ত্র মঞ্চ জোটের নেতাকর্মীদের ওপর চট্টগ্রামে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অতর্কিত এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডিতে দগ্ধ ও আহত রোগীদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন তারা। রোগী দেখে ফেরার জন্য গাড়িতে ওঠার আগমুহূর্তে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগকর্মী তাদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। এতে ৫-৬ জন নেতা আহত হন। আহতদের চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার শেভরনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন ও দলটির চট্টগ্রামের নেতা এএইচএম শাহীন হামলার ঘটনা বর্ণনা করে জানান, গণতন্ত্র মঞ্চের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের সাতজন নেতা এবং চট্টগ্রামের কয়েকজন নেতা অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে বিএম কন্টেইনার ডিপো পরিদর্শন করেন। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) দগ্ধ ও আহতদের দেখতে যান। হাসপাতালে রোগী দেখা শেষে তারা ফেরার জন্য গাড়িতে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে অতর্কিত কয়েকজন মানুষ তাদের ওপর হামলা করেন। তারা গণতন্ত্র মঞ্চ জোটের নেতাদের নির্বিচারে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। কাপড়চোপড় টানা-হেঁচড়া করেন। এতে ৫-৬ জন নেতা আহত হন। যারা হামলা করেছেন তারা ছাত্রলীগের কর্মী বলে অভিযোগ করেছেন আহতরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোখলেচুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কারা ঘটিয়েছে এবং ঠিক কী ঘটেছে তা জানার চেষ্টা করছি। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।