ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সরকার নির্ধারিত দর ২৩০ টাকার বদলে প্রতি গরুতে নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। ছাগলে ৯০ টাকার বদলে ১৫০ টাকা।
জানা গেছে, গত ৮ মে রানীশংকৈল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রমাণ পেয়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরের সপ্তাহে ১৫ মে আবারও ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে এর পরের দুটি হাটে যথা নিয়মে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করলেও উপজেলা প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গত রবিবার (৫ জুন) রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আগামী সপ্তাহের হাটে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
৫ জুন রবিবার ঐ হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি গরু ৪০০ টাকা করে আদায় করছে হাটের খাজনা আদায়কারী কর্মচারীরা। একইভাবে ছাগলেরও ১৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী সফিউল ইসলাম বলেন, হাটে গরু প্রতি ১৭০ টাকা বেশি খাজনা নিচ্ছে। মাঝে মাঝে এসিল্যান্ড এসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে চলে যাচ্ছেন, কিন্তু অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আরেক ব্যবসায়ী দুরুল হক বলেন, যা জরিমানা করা হয় তা হাট ইজারাদারের পকেট থেকে যায় না। প্রত্যেক হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে সর্বনিম্ন ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। সেখান থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিলে ইজারাদারের কোনো লোকসান হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গরু ছাগলের ব্যবসায়ী বলেন, যে টাকা অতিরিক্ত খাজনা নেওয়া হয় তা দিয়ে একটি গরুর অন্তত তিন চার দিনের খাবার কিনতে পারা যাবে। উপজেলা প্রশাসন যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেয় তাহলে ইজারাদার অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার সাহস পাবে না। প্রশাসন মাঝে মাঝে এসে কিছু জরিমানা করে তাঁরা তাদের দায় এড়িয়ে যান।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে হাট ইজারাদার আব্দুল কাদের বলেন, আপনি হাটে এসে দেখা করেন। ফোনে আমি কিছু বলব না।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।