অনলাইন ডেস্ক:
আজ সাকিব এ নিয়ে তৃতীয়বার টেস্টে অধিনায়কত্ব শুরু করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে। প্রথমবার ২০০৯ সালে খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিদেশে সিরিজ জয়। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় প্রথম টেস্ট শুরু হচ্ছে।
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি যেমন আছে, তেমনি রয়েছে সর্বনিু রানে অলআউট হওয়ার লজ্জাও। ২০১৮ সালে সবশেষ সফরে নর্থ সাউন্ডে ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা।
এবারের সফরে যাওয়ার আগে শ্রীলংকার বিপক্ষে দেশের মাটিতে বাজে পারফরম্যান্স হতাশার কারণ হয়েছে। বিশেষ করে টপঅর্ডার ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। ২০১৮-র দুঃস্বপ্ন মুছতে সাকিবের নেতৃত্বে সুন্দর সূচনার প্রত্যাশা বাংলাদেশের।
তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে তামিম ইকবাল খেলেছেন ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংস। ফিফটি নাজমুল হোসেন শান্তর (৫৪)। বোলিংয়ে ইবাদত হোসেন নিয়েছেন তিন উইকেট। ডিউক বলে প্রথম বোলিং করে মোস্তাফিজুর রহমানের ঝুলিতে গেছে তিন উইকেট।
প্রথম টেস্টে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, ‘তিনদিনের ম্যাচটি যেভাবে হয়েছে, তাতে আমি খুশি। ব্যাটাররা উইকেটে সময় কাটাতে পেরেছে। বোলাররাও সবাই ভালো কিছু ওভার করেছে। প্রথম টেস্টের জন্য তাই প্রস্তুতি ভালোই হয়েছে। কন্ডিশনের সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে ক্রিকেটাররা।’
বাংলাদেশ দলের বড় চিন্তা টপঅর্ডার নিয়ে। ক্যারিবীয় পেস বোলিং আক্রমণ সামলানো নিয়েও দুশ্চিন্তা রয়েছে। দেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে পেস আক্রমণ সামলাতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে।
এবার সামলাতে হবে ডিউক বলের গতি ও সুইং। বাংলাদেশের জন্য সুখবর হলো, ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন কেমার রোচ ও জেসন হোল্ডার। নেই শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও স্পিনার রোস্টার চেজও।
স্বাগতিকরা পাকিস্তান থেকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরেছে। ভিন্ন কন্ডিশন ও ভিন্ন ফরম্যাটে ব্যর্থতার হতাশা থেকে তারা সাদা পোশাকের ক্রিকেটে মাঠে নামবে।
ক্রেগ ব্রাফেটের অধিনায়কত্বে এই টেস্টে তিনজন ক্যারিবীয়র অভিষেক হতে পারে। তাই তুলনামূলক অভিজ্ঞ দল নিয়েই মাঠে নামবে সফরকারীরা।
এদিকে মুশফিকুর রহিম সফরে যাননি। তার জায়গায় ইয়াসির আলীর একাদশে সুযোগ পাওয়া ছিল নিশ্চিত। কিন্তু ইনজুরির কারণে তিনিও ছিটকে গেছেন। নুরুল হাসান সোহানের একাদশে থাকাটা প্রায় নিশ্চিত।
কিপিংও করতে হবে। ফর্মে থাকা সহ-অধিনায়ক লিটন দাস তাতে কিছুটা বিশ্রাম পাবেন। ইনজুরি থেকে সেরে উঠে এই সফরে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স সব সময়ই ভালো। এছাড়া মোস্তাফিজ পেস আক্রমণে ফেরায় তাসকিন ও শরীফুলের অভাব কিছুটা ঘুচবে। সাকিবের নেতৃত্বে টেস্টে নতুন আশা দেখছে বাংলাদেশ।