অনলাইন ডেস্ক:
সিলেট ও সুনামগঞ্জের ঘরে-বাইরে শুধুই থই থই পানি। বানের পানির তোড়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। অনেকের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু নেই। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বানভাসিদের। সব হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে তারা। গ্রামে গ্রামে পাকা ঘর ছাড়া কাঁচা কোনো ঘরের অস্তিত্ব নেই।
আধাপাকা ঘরগুলো দাঁড়িয়ে থাকলেও ঘরের বেড়া অথবা আসবাবপত্র বলতে কিছুই নেই। বানের পানিতে আসবাবপত্র, হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, মাছ ধরার জাল ভেসে গেছে। তিল তিল করে যে সংসার সাজিয়েছিল তারা তা এখন শুধুই অতীত।
সরকারি সহায়তা ছাড়া কারও কিছুই করার সামর্থ্য নেই। এদিকে বন্যাকবলিত সুনামগঞ্জ শহরের ৫০ শতাংশ এলাকায় চারদিন পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলোতে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক স্থানে নেই বিদ্যুৎ। নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মৌলভীবাজারে মনু নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে।
এদিকে সরকারি ত্রাণ পর্যাপ্ত না হওয়ায় বন্যার্তদের পাশে বিভিন্ন সংগঠন দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসেও শঙ্কা রয়েছে। ঢাকা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সিলেট বিভাগজুড়ে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আসাম, মেঘালয়েও বন্যা হওয়ায় অতি ভারি বৃষ্টি মিলিয়ে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। সিলেটে জুনজুড়ে মাঝামাঝি ধরনের ভারি বৃষ্টি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও সিলেট (নগরী) পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার কমেছে।
একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে কমলেও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। অবশ্য সারি ও লোভাছড়া নদীর পানি কমেছে। পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ার কারণে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হতে পারে।