সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ
সর্বশেষ সংবাদঃ

ঠাকুরগাঁওয়ে রেলের টিকিট কালোবাজারীর হোতা দুই কর্মচারী বরখাস্ত

 

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

”পাপ বাপকে ছাড়ে না” এই প্রবাদ বাক্যটি আজ সত্যি হলো-
অবশেষে রেলের দুই কালোবিড়াল ধরা পড়েছে। ঠাকুরগাঁওরোড রেলওয়ে স্টেশনের রেলের টিকিট কালোবাজারি করার অভিযোগে তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার অনুপ বসাক ও বুকিং সহকারী ফারুক হোসেনকে ২৬ জুলাই মঙ্গলবার সাসপেন্ড করে লালমনিরহাট ডিভিশনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও রোড স্টেশন মাস্টার আখতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের লালমনিরহাট ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক নূর মোহাম্মদ জানান, রেলের টিকেট কালোবাজারির অভিযোগে বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

রেলের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রেলযাত্রী আর ভুক্তভোগীরা বার বার অভিযোগ করে আসলেও রেলের পক্ষ থেকে এতদিন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ ছিল, টিকেট কালোবাজারিতে যুক্ত রয়েছেন রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কিন্তু স্টেশন মাস্টার বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।
অবশেষে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনের উল্লেখিত দুজনকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছেন রেলের বিভাগীয় বানিজ্যিক কর্মকর্তা।

কী অভিযোগে তাদের বরখাস্ত করা হল এমন প্রশ্ন করলে ঠাকুরগাঁও রোড রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আকতারুল ইসলাম জানান, “ তেমন কিছুনা, কাউন্টারের ভিতরে লোক ঢুকেছিল, ওই দুজন কাউন্টারের ভেতর থেকে তাদের টিকিট দিচ্ছিলেন। এমন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ”।
কিন্তু অন্য দিকে একটি বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে গভীর রাতে রেল স্টেশনের টিকিট রুম খুলে অনুপ কুমার বসাক এবং ফারুক হোসেন বিশেষ প্রক্রিয়ায় টিকিট কেটে রাখছিলেন। বিষয়টি প্রযুক্তির
মাধ্যমে লালমনিরহাট ডিভিশনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষনিকভাবেই জানতে পারেন। সাথে সাথে তাদের ফোন করে সকালের মধ্যে লালমনিরহাট হেড অফিসে আসার নির্দেশ প্রদান করেন। সেখানেই তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরেই ঠাকুরগাঁও রেল স্টেশনে টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম এতটাই বেড়েছে যে অন-লাইন কিংবা কাউন্টার কোথাও সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পেতেন না। ঈদের আগে ও পরে এবং বিভিন্ন পরীক্ষার সময় একটি টিকিট তিন চারগুণ বেশি দামে বিক্রি করা হতো প্রকাশ্যেই। এখানকার রেলযাত্রীরা বরাবরই অভিযোগ করে আসছিলেন যে, রেল স্টেশনের স্টাফরাই কালোবাজারির সাথে জড়িত। কিন্তু রেলের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।
রেলের দু’জনকে সাময়িক বরখাস্তের খবরে ভুক্তভোগী রেলযাত্রীরাকিছুটা সন্তোষ প্রকাশ করেন। উদীচী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু বলেন, শুধু এ দু’জন নয় এর সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের সবার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী বলেন, রেলের টিকিট কালোবাজারির দৌরাত্মে রেল যাত্রীরা আজ অতিষ্ঠ। চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে রেলের সব অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারীর অপসারণ করা দরকার।

Check Also

নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নওগাঁ প্রতিনিধি: বেসরকারী কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *