ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
বিতর্কিত ও অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মোজাম বিনোদন পার্ক থেকে সবুজ মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে ওই পার্কের একটি ঘর থেকে তার ছুরিকাঘাত করা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ওই ঘরটি সহ পাশের ঘর থেকে অসামাজিক কার্যক্রমে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সবুজ মিয়া পাশ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রায়ভংগী গ্রামের মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে। সে ১০-১৫ দিন যাবত পার্কটিতে দিনের বেলা মুদিখানার দোকান করত এবং রাতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করত।
পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ক্রাইম সিন দলের সদস্যরা জানান, তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও তার বুক ও পিঠে চাকু দিয়ে জখম করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক পার্কটিতে কর্মরত লোকজন জানান, ঘরটিতে রাতে ৩ জন পতিতা নারী ছিল। তারাই সকালে লাশ দেখতে পেয়ে আরেক নিরাপত্তা কর্মীর মাধ্যমে পার্ক মালিককে খবর দেয়। পরে পার্ক মালিক থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
পার্ক মালিক মোজাম্মেল দীর্ঘদিন থেকেই সেখানে আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে পতিতা নারীদেরকে নিয়ে এসে অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করত। এই ব্যবসা পরিচালনার জন্য সে পার্কটিতে বেশ কয়েকটি কুঠরি ঘর নির্মান করেছে।
ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম বলেন, কারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা আমরা এখনও নিশ্চিত না। পিবিআই এর ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। পুরো ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখছি। আশা করি অতি দ্রুত ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং আসামীদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে গত এপ্রিল মাসে পার্কটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে দুইজন পতিতা নারী এবং দুইজন খদ্দের সহ পার্কটির মালিক মোজাম্মেল হক মোজাম ও তার জামাতাকে আটক করা হয়। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ইউএনও মালিক এবং তার জামাতাকে ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে।
একই মাসে পৃথক আরো একটি অভিযানে এক ইউপি সদস্য সহ একজন পতিতা নারীকে আটক করেছিল পুলিশ।