ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার কাসেম সুরি ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দেন।
তার এ সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ দাবি করে এটির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলো।
তবে বিষয়টির ওপর টানা চারদিন শুনানি করার পরও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ শুনানি স্থগিত থাকবে।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বানদিয়াল, বিচারপতি মুনিব আক্তার, বিচারপতি ইজাজুল আহসান, বিচারপতি মাজহার আলম এবং বিচারপতি জামাল খানের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এ বেঞ্চটি।
তারা পাকিস্তানের সদ্যই ভেঙে দেওয়া জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসেম সুরির সিদ্ধান্তের বিষয়টি অসাংবিধানিক কিনা সে বিষয়টি দেখছেন।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ইমরান খানের আইনজীবি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
তিনি দাবি করেন, বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
তিনি সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানান, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি জুডিশিয়াল কমিটি গঠন করা হোক। যে কমিটি খুজে বের করবে কারা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত।
তার এ আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জামাল খান জিজ্ঞেস করেন, কারা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত এটি যদি কমিটির খুজে বের করতে হয়, তাহলে ইমরান খান কি না জেনেই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার মতো এতো বড় একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান খানের আইনজীবি জানান, ইমরান খান বিষয়টি জানেন। তবে পাকিস্তানের স্বার্থে তিনি সবার সামনে এটি খোলাসা করেননি।
প্রধান বিচারপতি ইমরান খানের আইনজীবিকে জিজ্ঞেস করেন, সংবিধানে আছে, অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হলে সেই প্রস্তাবের ভোট হতেই হবে। তিনি এটি বিশ্বাস করেন কি না।
এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান খানের আইনজীবি জানান, অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হলে ভোটের আয়োজন করতে হবে।