বুধবার, নভেম্বর ৬, ২০২৪ ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
সর্বশেষ সংবাদঃ

হামলায় বিএনপির গণঅবস্থান পণ্ড, আহত অর্ধশতাধিক

অনলাইন ডেস্ক:

ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় পণ্ড হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। হামলায় মঞ্চ ভাঙচুরের পাশাপাশি বিএনপির অর্ধশতাধিক কর্মীকে আহত করা হয়েছে বলেও জানান তারা।

দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের মতো বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের অম্বিকা ময়দানে শুরু হয় বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচি। কর্মসূচিতে রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ স্থানীয় নেতারা মিছিল সহকারে সমবেত হন।

কর্মসূচিতে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, সাবেক এমপি শাহ মো. আবু জাফর, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম, জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ মোদাসের আলী ইছা, সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপনসহ স্থানীয় নেতারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেওয়ার সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণঅবস্থান কর্মসূচির স্থান সংলগ্ন শহীদ সূফি ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর। যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয়পক্ষের মাঝে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়।

এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। উভয়পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরুর কিছু সময় পর বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয়পক্ষের ধাওয়া পালটা ধাওয়ার কারণে বিএনপির নির্ধারিত বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।

এ ঘটনায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। হামলা ও মঞ্চ ভাংচুরের কারণে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা অবস্থানস্থল থেকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বাধ্য হন।

গণঅবস্থান কর্মসূচিতে হামলার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দায়ী করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়। পালটাপালটি হামলার ঘটনায় পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

Check Also

নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নওগাঁ প্রতিনিধি: বেসরকারী কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *