অনলাইন ডেস্ক:
পাকিস্তানে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই গুঞ্জন ওঠেছে যে জেইউআই-এফ প্রধান দেশটির রাষ্ট্রপতি হতে চান। তার এই দাবির প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানে সরকার গঠন আরো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের অন্যতম মিডিয়া ডন অনলাইনের খবরে সরকারের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান ফেডারেল মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছেন না। তবে তিনি সরকারের মিত্র হিসেবে বহাল থাকার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, জেইউআই-এফ দেশের রাষ্ট্রপতি পদটি দাবি করেছে। তবে অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, এই দাবির প্রতি পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সম্মতি দেয়নি।
খবরে বলা হয়, মন্ত্রিসভার সদস্য বণ্টনের ব্যাপারেও ফজলুর রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন। তিনি পিপিপির আসিফ আলি জারদারির কাছে অভিযোগ করে জানতে চেয়েছেন যে যেসব দল বা ব্যক্তি তার দলের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছে, তাদেরকে দুটি মন্ত্রী পদ দেয়া হচ্ছে কেন? এমনটা করা হলে পরবর্তী নির্বাচনে তার দলের ক্ষতি হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মন্ত্রিসভা গঠনের পূর্ণ দায়িত্ব আসিফ আলি জারদারিকে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। শাহবাজ কেবল জারদারিকে অনুরোধ করেছেন এটা দেখতে যে সব দল তাদের গুরুত্ব অনুযায়ী আসন পায়।
পাকিস্তানের নতুন সরকারকে ‘মীরজাফরি’ বললেন ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খান পাকিস্তানের নতুন সরকারকে ‘মীরজাফরি’ সরকার বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বিদেশী অনুদান–সংক্রান্ত মামলার মধ্য দিয়ে তার দলকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে নতুন সরকার।
বিচারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পিপিপি, পিটিআই ও পিএমএল-এনের মামলাগুলোর শুনানি একই সময়ে করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় শনিবার করাচির বাঘ-ই-জিন্নাহতে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ইমরান খান।
গতকাল একটি চার্টার বিমানে করে করাচি পৌঁছান ইমরান খান। সেখানে পিটিআই নেতা ইমরান ইসমাইল ও সাবেক জাতীয় পরিষদ স্পিকার আসাদ কায়সারসহ দলীয় নেতা–কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। পরে বাঘ-ই-জিন্নাহতে সমাবেশ করেন ইমরান খান।
তার প্রতি সমর্থন জানিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়ায় শহরবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, পিটিআইয়ের স্বার্থ রক্ষা করাটা তার করাচি সফরের উদ্দেশ্য নয়। বরং পাকিস্তান এবং দেশের শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এ কাজ করা হয়েছে।