বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৭, ২০২৪ ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ
সর্বশেষ সংবাদঃ

শিশুর শরীরে পানিশূন্যতা হলে বুঝবেন কীভাবে?

অনলাইন ডেস্ক:

শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না গেলে পানিশূন্যতার আশঙ্কা থাকে। গরমে অত্যধিক ঘাম, বমি বা ডায়রিয়ার মতো রোগ হলে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। তখন শরীর নানাভাবে জানান দেয়।বড়রা শরীরে পানির ঘাটতি টের পেলেও ছোটরা বলতে পারে না। মূলত তিন ধরনের ডিহাইড্রেশন হয়, হাইপোটোনিক (শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি হয়), হাইপারটনিক (শরীরে জলের ঘাটতি হয়) আর আইসোটনিক (শরীরে জল ও ইলেকট্রোলাইট, দুইয়ের ঘাটতি হয়)।

গরমে শিশুদের খাবার হজম করতে অসুবিধা হয়, তারা নানা ধরনের পেটের সংক্রমণে ভোগে। পেটের সংক্রমণ থেকে বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়। ফলে শরীরে পানি এবং প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইডের ঘাটতি হয়।

শিশুদের শরীরে পানিশূন্যতা হলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন-

১. শিশুর শরীরে জলের ঘাটতি হলে ঠোঁট ও মুখের চারপাশ শুকিয়ে যায়।

২. শিশু কান্নার সময়ে চোখ দিয়ে বেশি পানি না পড়াও তা পানিশূন্যতার লক্ষণ।

৩. শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে প্রস্রাব হলুদ রঙের হয়। শিশু যদি দু’-তিন ঘন্টা অন্তর প্রস্রাব না করে, তা হলেও বু‌ঝবেন তার শরীরে পানির ঘাটতি হয়েছে।

৪. পানিশূন্যতা হলে শিশুরা সারা ক্ষণ ঝিমিয়ে থাকে। খেলাধুলা না করে দিনের বেশির ভাগ সময়েই সে ঘুমিয়ে থাকতে চায়। এই প্রবণতা দেখা দিলে সাবধান হতে হবে।

৫. শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি হলে তার মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। শিশু সব সময়ে ঘ্যানঘ্যান করলে বা কান্নাকাটি করলে বুঝতে হবে তার পাশিশূন্যতা হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে যা করণীয়

শিশুর শরীরে এই লক্ষণগুলি দেখা গেলেই সতর্ক হতে হবে। শিশুর যেন পর্যাপ্ত মাত্রায় পানি খায়, সে দিকে নজর দিতে হবে। তাকে মাঝে মধ্যে স্যালাইন খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

Check Also

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা!

অনলাইন ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জেসিন্ডা আরডার্ন। ঘোষণাটি নিয়ে যে বিস্তর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *