বিবৃতিতে পেলের পুরো নাম এডসন অরান্দেস দো নাসিমেন্তো নাম ব্যবহার করে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হাসপাতাল ছাড়তে কিছুদিন সময় লাগবে কিংবদন্তির। থাকতে হবে কিছুদিন।
গত সেপ্টেম্বরে অস্ত্রোপচার করে পেলের মলাশয়ের টিউমার অপসারণ করা হয়। তখন মাসখানেক হাসপাতালের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এরপর থেকেই হাসপাতালে যাওয়া আসার মধ্যে আছেন পেলে।
হাসপাতালের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত বছর সেপ্টেম্বরে ধরা পড়া মলাশয়ের টিউমারের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তো। তিনি শারীরিকভাবে ভালো আছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন।’
গত সেপ্টেম্বরে পেলের টিউমার অপসারণের পর তাঁর কেমোথেরাপি লাগবে বলে জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় স্বাস্থ্যগত বেশ কয়েকটি সমস্যার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ফুটবলারকে। এর আগে করা অস্ত্রোপচারের কারণে অন্য কারও সহায়তা ছাড়া চলাফেরা করা কঠিন হয়ে উঠেছে তাঁর জন্য। গত ফেব্রুয়ারিতে মূত্রাশয়ে সংক্রমণের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে প্রায় দুই সপ্তাহ থাকতে হয় পেলেকে।
২০১৪ সালেও মূত্রাশয়ের সংক্রমণে ভুগেছেন পেলে। সে বছর কিডনিতেও ডায়ালাইসিস করান এবং কোমরের সমস্যায় ভুগেছেন। ২০১৯ সালে অস্ত্রোপচার করে কিডনির পাথর অপসারণ করান।
সেই অস্ত্রোপচারের আগে প্যারিসে পাঁচদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় সান্তোস ও নিউইয়র্ক কসমস মাতানো ফুটবলারকে। তখনো মূত্রাশয়ের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত জানুয়ারিতে পেলেকে নিয়ে দুঃসংবাদ জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন—তাঁর যকৃতে টিউমার ধরা পড়েছে এবং ফুসফুসেও আরেকটি টিউমার বেড়ে উঠছে।