অনলাইন ডেস্ক:
২০০৮ সালে ক্রিকেট বিশ্বকে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় ভারত। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) পর অস্ট্রেলিয়া চালু করে বিগ ব্যাশ লীগ। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল), পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল)। এমনকি নেপালও ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রতিযোগিতা চালু করেছে এভারেস্ট প্রিমিয়ার লীগ নামে। সেই কাতারে এবার নাম লেখালো দক্ষিণ আফ্রিকা। সুপারস্পোর্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নতুন ফ্র্যাঞ্জাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ)। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট।
এছাড়া প্রতি বছর জানুয়ারিতেই পর্দা উঠবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির। এক বিবৃতিতে সিএসএ জানায়, আইপিএল ব্যতীত অন্যান্য টুর্নামেন্টগুলোর মতোই ক্রিকেটারদের আকর্ষণীয় পারিশ্রমিক দেয়া হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আয়োজক কোম্পানি খেলোয়াড়দের জন্য আকর্ষণীয় পারিশ্রমিক রাখার কথা চিন্তা করছে
যাতে আইপিএল ব্যতীত অন্যান্য লীগের সঙ্গে এটি সমানতালে চলতে পারে।’
সিএসএর বিবৃতিতে জানানো হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিদেশি খেলোয়াড়দেরও নেয়া হবে এই টুর্নামেন্টে। প্রতি ম্যাচে খেলতে পারবে সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি ক্রিকেটার। প্রত্যেক আসর শুরুর আগে অনুষ্ঠিত হবে নিলাম।
৬টি বেসরকারি মালিকানাধীন দল নিয়ে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির প্রথম আসর। যেখানে অংশগ্রহণকারী দলগুলো গ্রুপ পর্বে একে অপরের বিপক্ষে খেলবে দুটি করে ম্যাচে। পরে সেরা তিন দলকে নিয়ে হবে প্লে-অফ। সবমিলিয়ে তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে ৩৩ ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকান বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ফোলেটসি মোসেকি বলেন, ‘আমরা এই নতুন এবং উদ্দীপনামূলক টুর্নামেন্ট গঠন করতে উদগ্রীব হয়ে আছি। সিএসএ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছে।’ টুর্নামেন্ট আয়োজনে সিএসএর সহযোগী প্রতিষ্ঠান সুপারস্পোর্টের প্রধান নির্র্বাহী মার্ক জুরি বলেন, ‘আমরা এমন উদ্যোগে সহযোগিতা করতে পেরে আনন্দিত। যে টুর্র্নামেন্টটি দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।’