ন্যাশনাল ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশেরবন্ধুত্বের এ এক ঐতিহাসিকঘটনা।ভারতসরকারেরআয়ুশ (স্বাস্থ্য) মন্ত্রণালয়তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ৩ বছরেরজন্য অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেনকাজমিকেহামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশে ইউনানী চেয়ারহিসেবে প্রেরণকরেছে। দু’দেশেরমধ্যে শিক্ষা ও গবেষণারমানোন্নয়নেএটিএকটিমাইলফলকওবটে।
ইউজিসির নীতিমালা অনুসরণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এবং ভারতের আয়ুশ (স্বাস্থ্য) মন্ত্রণালয়ের কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন ইউনানি মেডিসিন এর মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির মাধ্যমেইভারতসরকারএকজনইউনানিবিষয়কগবেষক ও অধ্যাপককেহামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশে পাঠালো। ভারতেরআয়ুশ (স্বাস্থ্য) মন্ত্রণালয় উক্ত অধ্যাপকের বেতন-ভাতা ও যাতায়তসহযাবতীয়খরচবহনকরবে। হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশ শুধুমাত্রআবাসন ও চিকিৎসাসেবানিশ্চিতকরবে।
আয়ুশমন্ত্রণালয়েরঅনুমোদনক্রমে অধ্যাপকডা. মনোয়ার হোসেনকাজমি‘ইউনানি চেয়ার’হিসেবে গত ৩১ শে মার্চ হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশে যোগদানকরেন। অধ্যাপকমনোয়ারবিশ্ববিদ্যালয়টিতেইউনানিমেডিসিনবিষয়েক্লাস নেওয়ারপাশাপাশিশিক্ষার্থীদের স্পটডায়গনোসিস শেখাবেন। এছাড়াএখন থেকে ভারতীয়হাইকমিশনারেরউপস্থিতিতেপ্রতিবছর ২১ শে মে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশ ক্যাম্পাসেইয়োগা ডে উদযাপিতহবে। বাংলাদেশে এই প্রথমভারতের অর্থায়নেএরকমশিক্ষাবিনিময়ের উদ্যোগশুরুহওয়ায়আনন্দিত শিক্ষাসংশ্লিষ্টসবাই।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৪ই মার্চ স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতেরকিংবদন্তি উদ্যোক্তা ড. হাকীম মো.ইউছুফহারুনভূঁইয়াহামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকরেন।
এদিকে, অধ্যাপকডা. মনোয়ার হোসেনকাজমি’র যোগদানউপলক্ষে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশেরপ্রধানকার্যালয়ে এক সংবর্ধনাঅনুষ্ঠিতহয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেনহামদর্দ বাংলাদেশেরচিফ মোতাওয়াল্লী ও ব্যবস্থাপনাপরিচালক, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশেরপ্রতিষ্ঠাতা ড. হাকীম মো. ইউছুফহারুনভূঁইয়া। এতে হামদর্দ বাংলাদেশের মোতাওয়াল্লী ও উপ-ব্যবস্থাপনাপরিচালক মোহাম্মদ জামালউদ্দিনরাসেল, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তভিসি ড. আবুলখায়েরসহপরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।