সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ
সর্বশেষ সংবাদঃ

ঘোড়াঘাটে অসুস্থ মানুষের আশার আলো ” আমিজা খাতুন দাতব্য চিকিৎসালয়

আজিজার রহমান, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) থেকে:

ইসলাহে মিল্লাত ট্রাস্ট, ডুগডুগীহাট, ঘোড়াঘাটন,দিনাজপুর পরিচালিত আমিজা খাতুন দাতব্য চিকিৎসালয় এলাকায় গরীব ও অসহায় অসুস্থ মানুষের মাঝে আসার আলো ছড়াচ্ছে। প্রতি শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা ৩০ মিঃ পর্যন্ত একটানা বিনামূল্যে রোগী দেখে ঔষধ প্রদান করেন একজন অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তার ও একজন সহযোগী।

এখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ আবু তাহের প্রাধান বলেন, প্রতি শুক্রবার গড়ে ৬০ থেকে ৬৫ জন রোগী এখানে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য আসেন। আমরা সেবার মনোভাব নিয়ে নিবিড় ভাবে আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা পরিক্ষা- নিরিক্ষা ও পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে আগত রোগীদের রোগ নির্ণয় করে ঔষধ দিয়ে থাকি। আল্লাহর রহমনে অনেক গরীব ও অসহায় রোগী ফলাফল ভালো, আলহামদুলিল্লাহ। সহকারী চিকিৎসক মোঃ রেজাউল করিম বলেন, আল্লাহর রহমতে অনেক দুরারোগ্য রোগী এখানকার সেবা নিয়ে ও ঔষধ সেবন করে আরগ্য লাভ করেছেন। তিনি আরো বলেন, কয়েকজন রোগী রোগ থেকে মুক্তি লাভ করে সন্তুষ্ট হয়ে বিপি মেশিন, ওজন পরিমাপ যন্ত্র ও আধুনিক তাপ পরিমাপ যন্ত্র দান করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় পাঁচ হাজার টাকা।

পার্শ্ববর্ত্তী হাকিমপুর উপজেলার চকচকা গ্রামের মোঃ সোলায়মান (৫০) বলেন, আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। অনেক চিকিৎসা করে ভালো না হওয়ায় ভারতের মাদ্রাজ যাওয়ার সিদ্ধান্ত করি। লোকমুখে শুনে আমি এখানকার ঔষধ সেবন করে ভাল হয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমি খুশী হয়ে এই প্রতিষ্ঠানে একটি বিপি মেশিন দান করেছি। ধাওয়া মাঝিয়ান (বিরিপাড়া) গ্রামের মোছাঃ আয়রা বেগম (৪৫) বলেন, আমার প্রায়ই শ্বাসকষ্ট হতো এবং শরীর খুবই দূর্বল ছিল। আমি এখানকার ঔষধ সেবন করে সুস্থ হয়েছি। আমি উৎফুল্যচিত্তে একটি আধুনিক তাপ পরিমাপ যন্ত্র এই প্রতিষ্ঠানে দান করেছি। আমড়া গ্রামের অপর একজন মোছাঃ মন্জুয়ারা বেগম(৫০) বলেন, দীর্ঘদিন থেকে উচ্চরক্তচাপ, স্নায়ুবিক দূর্বলতা ও গোপন কর কিছু রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলাম। এখানকার ঔষধ সেবন করে আমি বর্তমানে ভাল আছি। আমি এই প্রতিষ্ঠানকে ভালোবেসে এবং সাফল্য কামনা করে একটি ওজন পরিমাপ যন্ত্র দান করেছি।

আর একজন পালশা গ্রামের মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৩) বলেন, আমি সুদীর্ঘ ২ বছর থেকে গালে চর্মরোগে ভুগছিলাম। এখানকার ঔষধ সেবন করে আমি অনেকটা সুস্থ হয়েছি। এই প্রতিষ্ঠানের একান্ত কাছের মানুষ ও জমিদাতার ছেলে মোঃ নূর আলম বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের গরীব অসহায় রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য ৩০ হাজার ( ত্রিশ হাজার) টাকা দান করেছি এবং সমাজের বিত্তবান লোকদের এই প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

Check Also

নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নওগাঁ প্রতিনিধি: বেসরকারী কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশনের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *