অনলাইন ডেস্ক:
পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ছিল প্রায় সমানে সমান। ১১ উইকেটের দ্বিতীয় দিনে এসে স্পিনারদের কল্যাণে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে স্বাগতিকেরা। ছয়ে নামা আগা সালমান লড়াই করছিলেন ইয়াসির শাহকে নিয়ে। দিনের শেষ বলে অবশ্য স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে, ১২৬ বলে ৬২ রান করে। শ্রীলঙ্কার ৩৭৮ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৯১ রান, প্রথম ইনিংসে এখনো তারা পিছিয়ে ১৮৭ রানে। ইয়াসির অপরাজিত আছেন ৬১ বলে ১৩ রান করে।
মধ্যাহ্নবিরতির আগেই ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের পাঁচজনই ভালো শুরু পেয়েছিলেন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। গলের এ উইকেট প্রথম দিন ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ সহায়ক ছিল, দ্বিতীয় দিনেও সেটি খুব কঠিন হয়ে ওঠেনি। তবে পাকিস্তানিরা ব্যর্থ হয়েছেন তা কাজে লাগাতে। শ্রীলঙ্কান স্পিনাররা নিয়মিত বিরতিতেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা।
দ্বিতীয় বলেই আবদুল্লাহ শফিককে বোল্ড করে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ব্রেক থ্রু অবশ্য এনে দেন পেসার আসিতা ফার্নান্ডো। গুডলেংথের বলে সামনের না পেছনের পায়ে ভর করে খেলবেন—ধন্দে পড়ে যান শফিক। শেষ পর্যন্ত বল স্টাম্পে ডেকে আনেন প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক। পাকিস্তানের পরের উইকেটগুলোতে অবশ্য শ্রীলঙ্কান স্পিনারদের কৃতিত্বের সঙ্গে ‘দায়’ আছে ব্যাটসম্যানদেরও। প্রবাত জয়াসুরিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আলগা শট খেলে ইনসাইড-এজে বোল্ড হন অধিনায়ক বাবর আজম, ৩৪ বলে ১৬ রান করে। পরের উইকেটও আসে বোল্ড থেকেই। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ঝুলিয়ে দেওয়া বলে আগবাড়িয়ে ডিফেন্ড করতে গিয়ে ব্যাট-প্যাডের মধ্যে ফাঁক রেখে দেন ৫৪ বলে ৩২ রান করা ইমাম-উল-হক।
পরের তিনটি উইকেটই রমেশ মেন্ডিসের, এর মধ্যে প্রথম দুটি এলবিডব্লু। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাওয়াদ আলম—দুজনই ২৪ রান করার পর নিজের বিপদ ডেকে আনেন ব্যাকফুটে গিয়ে। ফাওয়াদ রিভিউ নেননি, তবে রিজওয়ান নষ্ট করেছেন একটি। দুই ক্ষেত্রেই খোলা চোখেই পরিষ্কার আউট ছিলেন দুজন। পেছনের পায়ে ভর দিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন মোহাম্মদ নওয়াজও, তিনি অবশ্য হন কট-বিহাইন্ড।
ফাওয়াদের সঙ্গে ৩১, নওয়াজের সঙ্গে সালমানের জুটিতে ওঠে ২৬ রান। সে তুলনায় তাঁকে দারুণ সঙ্গই দিয়েছেন ইয়াসির। ৯৩ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন ২৮ বছর বয়সী সালমান। ইয়াসির অবশ্য দিনের একেবারে শেষ মুহূর্তে এলবিডব্লু হয়েছিলেন মেন্ডিসের বলে, তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। ইয়াসিরের বেঁচে যাওয়া উদ্যাপন করেছেন তখন সালমান, কিন্তু পরের ওভারে জয়াসুরিয়ার বলে সামনে ঝুঁকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়েন তিনি। সালমানের আউটেই শেষ হয় দিনের খেলা। ইয়াসিরের সঙ্গে সালমানের জুটিতে ওঠে ৪৬ রান।