অনলাইন ডেস্ক:
‘সাগরকন্যা’খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়ে তিলধারণের ঠাঁই নেই।
মহামারি করোনাভাইরাসে মন্দাভাব কাটিয়ে পর্যটন ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে এই ঈদ মৌসুমে। সৈকতের হোটেল-মোটেলগুলোর মালিকদের মুখেও ফিরেছে হাসি।
বুধবার বিকেলে কুয়াকাটা সৈকত হয়ে উঠেছিল ‘তিল ঠাঁই আজ নাহি রে’। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে ছিল জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ।
ঈদের চলমান ছুটিতে পর্যটকদের এমন উপচে পড়া ভিড় সপ্তাহজুড়ে থাকবে বলে ধারনা করছেন আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন সৈকতের ৫ কিলোমিটার পূর্বদিকে গঙ্গামতি লেক ও পশ্চিমে আন্ধারমানিক মানিক নদীসহ তিন নদীর মোহনা পর্যন্ত পর্যটকদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা থেকে আসা শিশু শিক্ষার্থী রাফি বলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাবা-মা তিন ভাই বোনসহ ৬ সদস্যেও একটি টিম কুয়াকাটা বেড়াতে এসেছে। তারা থাকবে শনিবার পর্যন্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা করিম আকন বলেন, স্ব-পরিবারে কুয়াকাটা সৈকতে এসে বেশ ভাল লেগেছে।
ঢাকার সাইন্সল্যাব এলাকা থেকে আসা পর্যটক মনোয়ার হোসেন বলেন, এই প্রথমবারের মতো কুয়াকাটা সৈকতে এসে সমুদ্রে সাঁতার কেটে অনেক মজা করেছে বাচ্চারা। গত দুই বছর করোনার কারনে কোথাও বেড়ানোর সুযোগ হয়নি। ঘুরতে না পারার দুঃখবোধ ছিল পরিবারেরর।যশোর থেকে আসা কুষ্টিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসিববিল্লাহ জানায়, কুয়াকাটা সৈকতের একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ পেয়ে তারা বেশ খুশি। কুয়াকাটা অনেক সুন্দর জায়গা, এখানে এলে সবারই মন ভালো হয়ে যায়।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এম এ মোতালেব শরীফ বলেন, সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় এমনিতেই পর্যটকদের ব্যাপক চাপ থাকে। আবাসিক হোটেলগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত হয়ে গেলে আশেপাশে বিভিন্ন বাসা বাড়িতেও জায়গা দিতে হয় পর্যটকদের।
এজন্য আরও ভালোমানের আবাসিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণ করা দরকার বলে তিনি মনে করছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, বর্তমানে পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আগত পর্যটকদেও যেকোনো .খারাপ পরিস্থিতি এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহযোগিতা নেবার তাগিদ দিয়েছেন।