ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছ থেকে আরও অস্ত্র সহায়তা চাইলেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা।
ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বৈঠকের আগে তিনি এ সহায়তা চান। খবর বিবিসির।
কুলেবা বলেন, আমার আলোচ্যসূচি একেবারেই ‘সাধারণ’। ইউক্রেন আত্মবিশ্বাসী যে, রাশিয়াকে হারাতে সর্বোত্তম পন্থা হলো— আরও সামরিক সহায়তা।
কুলেবা ব্রাসেলসে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনকে কীভাবে অস্ত্র সহায়তা দেওয়া যায় সেটিই আলোচনার মূল বিষয়।
বৈঠকের আগে কুলেবা বলেন, অস্ত্রের ‘টেকইস ও পর্যাপ্ত সরবরাহ’ ছাড়া ইউক্রেনের বিজয় ‘বিশাল ত্যাগের’ মাধ্যমে অর্জিত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যত দ্রুত অস্ত্র আসবে তত বেশি মানুষের জীবন ও শহর ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের যা প্রয়োজন তা সরবরাহ করতে আমি মিত্রদের প্রতি সব অনিচ্ছা ও সংশয় একপাশে রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। বিষয়টি অদ্ভুত শোনালেও সত্যি, আজ অস্ত্র শান্তির উদ্দেশ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করে ২৪ ফেব্রুয়ারি দোনবাস অঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুরু হওয়া আগ্রাসন ৪৩ দিনে গড়িয়েছে। রুশ হামলার মুখে ইউক্রেন থেকে পালিয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
লড়াই বন্ধে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হলেও এখনও কোনো সমাধান আসেনি। সম্প্রতি রাশিয়া তাদের লক্ষ্য পরিবর্তনের কথা জানায়। এখন মস্কো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সামরিক অভিযান জোরদার করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে।