মোঃ আজিজার রহমান, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) থেকে:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বোরোধান কাটা নিয়ে কৃষকেরা বিড়ম্বনায় পড়েছে। ঝড়-বৃষ্টিতে অনেক ফসল বিনষ্ট পয়েছে । জমিতে, পানি ধান গজিয়েছে তাই ধানকাটা অনুপযোগী হওয়ায় মুজুরী বেশি। বাজারে ভেজা ধানের দাম কম। ক্ষেতমজুর সংকট। জমিতে জোকের উপদ্রপ। রোদ অভাবে ভাতের ধান সিদ্ধ- শুকান করা সম্ভব হচ্ছে না। চাষি, ক্ষেতমজুর ও ব্যবসায়ী সবাই বিপাকে পড়েছে।
২নং পালশা ইউনিয়নের পড়ইল গ্রামের মোঃ আইয়ুব আলী বলেন , আমি ৭ একর জমিতে বোরোধান চাষ করেছি। ক্ষতমজুর অভাবে এপর্যন্ত ২ একর জমির ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছে তাও আবার ভেজা ধান। বাকি ৫ একর জমির ধান না কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারন জমিতে ফসল প্রায় বিনষ্ট হয়েছে। যদি ফসল ঘরে আনার চিন্তা করি তাহলে ক্ষেতমজুরের দামই উঠবে না।
মোল্লাভাগ গ্রামের বোরোধান চাষি মোঃ আফতবুজ্জামান বলেন , ৫০ শতক জমি ১ হাজার টাকা দরে ধান কাটলাম। রোদ অভাবে ধান গাজিয়েছে। বাজারে ধান বিক্রি করতে পারছি না। ৯শ টাকা মন দরেও বিক্রি হচ্ছে না। ফলে ক্ষেতমজুরদের মুজুরী পরিশোধ করতে পারছি না। একই গ্রামের বোরোধান চাষি আহম্মদ আলী বলেন , বহুনকষ্টে ভেজাধান কেটে ঘরে এনেছি। বৃষ্টির পানিতে পুনরায় ভিজে ধানের গাজি হয়েছে । সেই ধান সিদ্ধ করে রোদ অভাবে শুকাতে পরিনি। এখন কি পরিনতি হবে জানিনা।
দেওগ্রামের ক্ষেতমজুর মোঃ বাবলু মিয়া বলেন, প্রায় ক্ষেতের ধান জমিতে শুয়ে গেছে। আবার কোনো কোনো জমিতে পানি জমে আছে তাতে প্রচুর জোকের উপদ্রপ। পায়ের হাটু পর্যন্ত মুজা পরেও জোক ঠেকানো যাচ্ছে না। এবারে যেসব ঘটনা দেখতেছি মনে হয় এসব আল্লাহর গজব। ডুগডুগীহাটের ধান আড়তদার বাবু বলেন, প্রায় ধান ভেজা ও অনেক ধানে গাছ গজিয়েছে। এসব ধান নিয়ে আমরা কোথায় বিক্রি করবো।