সালাহ উদ্দিন, লালপুর (নাটোর):
নাটোরের লালপুরে আলোচিত ইমো প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে সম্প্রতি প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে স্থানীয় জনগণ। ইমো প্রতারকদের জন্য দেশজুড়ে বরাবরই আলোচিত নাটোরের লালপুর উপজেলা, (১৫ মে) থেকে (২২মে ২০২২) পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে ইমু প্রতারক চক্রের ২১ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গত রোববার (১৫ মে) রাতে উপজেলার বিলমাড়ীয়া কলেজের পাশে লালপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন মোমিনপুর গ্রামের রায়হান আলী (২২), পলাশ (২৫), ছোট বাদকয়া গ্রামের কাওসার (২০), মনিহারপুর গ্রামের রুবেল (২৩), গন্ডবিল গ্রামের রাজু (২২), নাইম (২২), ও রহিমপুর গ্রামের সাগর (১৬), তাদের কাছ থেকে কয়েকটি মোবাইল ও সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
শনিবার (২১ মে) ভোররাতে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর চিনির বটতলা এলাকায় র্যাব অভিযানে ৫ জন গ্রেফতার হন গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাকিল আহমেদ (২৩), সেলিম আলী (২০) শান্ত ইসলাম (১৯), মহরকয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের সোহেল রানা (২৮) ও মোহাইমিনুল (২৭), তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল ও ১১ টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়। রোববার (২২ মে) ভোররাতে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া থেকে প্রতারক চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোঃ সাহেব ইসলাম (২১), মোঃ শাকিল (২২), মোঃ সাহাবুল ইসলাম (৩৫), মোঃ রুবেল(৩০), মোঃ রবিউল ইসলাম(৪২), চন্দন কুমার (২৩), সিরাজুল ইসলাম (৩২), মোঃ আশরাফুল ইসলাম (২৫) ও মোঃ রাজু হোসেন (১৭)। এসময় তাদেরকাছ থেকে ৮টি স্মার্টফোন ও সীমকার্ড জব্দ করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রশাসনের এমন তৎপরতায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকার ইমো প্রতারকদের মধ্যে, অনেকে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে বলেও যানা যায়।
এবিষয়ে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন যারা প্রতারণা করে মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে ।