শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বাড়ির পাশে গর্তের মাঝে জমাটবাঁধা পানিতে পড়ে আব্দুল্লাহ হোসেন (৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে| নিহত আব্দুল্লাহ খানপুর ইউনিয়নের ভাটরা উত্তর পাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আলমগীর হোসেনের ছেলে। শনিবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় ভাটরা উত্তর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে সীমা বাড়ী ইউনিয়নের ররোয়া গ্রামে মহরম আলী (২) নামে আরেক শিশু পুকুরে ডুবে মারা গেছে।
নিহতের চাচা মামুন জানান, সকালবেলা আমিও ভাই একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে যায়। ঘন্টাখানেক পর ফোন দিয়ে জানানো হয় আব্দুল্লাহ পানিতে পড়ে মারা গেছে। আব্দুল্লাহর মা খাদিজা খাতুন জানান, আব্দুল্লাহর বাবা সকালবেলা খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভ্যান নিয়ে বাইরে চলে যায় । আমি বাড়ির ভিতরে কাজ করছিলাম।আব্দুল্লাহ খেলতে খেলতে বাড়ির পাশে গর্তে জমাট করা পানির ভিতরে পড়ে যায়। অনেকক্ষণ আব্দুল্লাহকে দেখতে না পেয়ে তার দাদা ও দাদীসহ আমি খোঁজাখুঁজি এক পর্যায়ে গর্তের ভিতরের পানিতে তার জুতা ভাসতে দেখে। তখন সেখানে নামলে আব্দুল্লাহ লাশ খুঁজে পায়। বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, আমার একটি মাত্র সন্তান, আল্লাহ আমাকে পরীক্ষার জন্য হয়তো এভাবে তাকে নিয়ে গেল।
অন্যদিকে, উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের পুকুরে পরে মহরম আলী (২) নামের আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় ররোয়া মধ্যপাড়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটি ওই এলাকার এনামুল হকের ছেলে। শিশুটির মা রাবেয়া খাতুন জনান, শিশুটি খেলেতে খেলতে সকলের অজান্তে পুকুরে পড়ে ডুবে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। তাকে না পেয়ে পরিবারে সবাই তাকে খোজাখুজি করি। পরে তার লাশ পুকুরে ভাসতে দেখতে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় এ ব্যাপারে শেরপুর থানায় ২ শিশুর ২টি ইউডি মামলা হয়েছে।