ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
সম্মান বাঁচানোর চেষ্টায় অনাস্থা ভোট এড়িয়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার কৌশল নিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তার সেই চেষ্টা ভেস্তে গেছে।
দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী আজ জাতীয় পরিষদে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। খবর দ্য ডনের।
সব চোখ এখন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের দিকে, যেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান থাকবেন কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে।
পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষের অনাস্থা ভোটে ইমরানের ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে যাচ্ছে, এমন স্পষ্ট সম্ভাবনা সামনে রেখেও দলটি বিরোধীদের মাঠ ছেড়ে না দেওয়ার এবং তাদের পক্ষে যতটা সম্ভব পরিস্থিতি কঠিন করে তোলার কৌশল নিয়েছে।
এ কৌশলের অংশ হিসেবে তারা ভোট প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি বা হাউসের নতুন নেতা হিসেবে বিরোধী দলের মনোনীত প্রার্থী শাহবাজ শরিফের নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করতে পারে।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়ার চৌধুরী বলেছেন, অনাস্থা প্রস্তাব সফল না হলে পাকিস্তানকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে- এ ধরনের হুমকি দেওয়া একটি বার্তা বা এর বিষয়বস্তু পার্লামেন্টের অধিবেশনে উপস্থাপন করতে পারে সরকার এবং এ ইস্যুতে বিতর্ক চেয়ে স্পিকারের কাছে আবেদন জানাতে পারে।
শুক্রবার রাতে একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেছেন, অধিবেশনের বিষয়সূচিতে অনাস্থা ভোটের বিষয়টি থাকলেও শনিবার তা না-ও হতে পারে।
তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট ৯ এপ্রিলে ডাকা পার্লামেন্টের অধিবেশনে ভোট গ্রহণের নির্দেশনা দিলেও এর মানে এই নয় যে ওই তারিখেই তা করতে হবে।
আস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার আগের রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় তিনি মেনে নিয়েছেন, তবে তাকে উৎখাত করে ‘আমদানি করা’ কোনো সরকার বসানোর চেষ্টা তিনি মেনে নেবেন না।
পার্লামেন্টে সমর্থনের যে হিসাব-নিকাশ দাঁড়িয়েছে, তাতে অনাস্থার লজ্জা নিয়ে ইমরানের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার প্রায় দেড় বছর আগেই ইমরানের দল পিটিআইকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে।