মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
১৮৫৪ সালে স্থাপিত বগুড়ার শিবগঞ্জের সচিয়ানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নামে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির ওয়াকফ করা ১২৮ শতাংশ জমি ৭৬ বছর পর উদ্ধার করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
সচিয়ানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও বিহার ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম এবং সহ সভাপতি ছামছুল হক জানান, এ মসজিদটি ১৮৫৪ সালে স্থাপিত হয়। মসজিদের উন্নয়ন কল্পে এলকার খাজাতুন বেওয়া ১ একর ৬৮ শতাংশ,সোনাভান ২৫ শতাংশ, শিমুল্লাহ ১ একর ৩২ শতাংশ, আদু প্রাং ৮ শতাংশ, কুড়ানী বিবি ১একর ২৮ শতাংশ, ছমির উদ্দিন ৮ শতাংশ, সফা আকন্দ ২শতাংশ, মুসলিম উদ্দিন ১ শতাংশ, তছিমদ্দিন ১ শতাংশ, আঃ মতিন ১শতাংশ সহ আরও অন্যান্য ব্যক্তি বর্গ পুরাতন এই মসজিদের নামে জমিগুলি ওয়াকফ করেন। ৩৭২২ নং একটি দলিলে উল্লেখ আছে ওয়াকফ কৃত জমি গুলি দাতার আত্মীয় স্বজন বা তাদের ওয়ারিশগণ দাবী করতে পারবেনা, যদি করে তা আইনত অগ্রাহ্য বলে গণ্য হবে।সে সময় থেকেই এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তি গণ মসজিদের জমিগুলি বিভিন্ন দলিল সৃষ্টি করে জবর দখল করে ভোগ দখল করে আসছে।
৭০/৭৫ বছর পর বর্তমান মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ ভোগ দখলকারীদের নিকট থেকে জমিগুলি উদ্ধার করেন। মসজিদ কমিটির আমজাদ হোসেন, খয়বর আলী, ইসতাহার আলী সহ অন্যান্য সদস্যরা জানান, আমাদের অজান্তে এ মসজিদের নামে যদি আরও কোন জমি থাকে তাহলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সেগুলি মসজিদ কমিটির নিকট হস্তান্তর করুন, তাহলে ইহকালেও কল্যাণ ও আখের রাতেও মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশাল্লাহ। ওয়াকফ কৃত জমির ভোগদখল কারীদের মধ্য মৃত মনির উদ্দিনের পুত্র আলহাজ্ব মোসলিম উদ্দিন জানান, আমি মসজিদের নামের যে জমিগুলি ভোগদখল করছি তা মসজিদের নামে ওয়াকফ কৃত,। যারা ওয়াকফ করেছে সে ব্যক্তিগনের নিকট থেকে আমরা কবলা ক্রয় করেছি। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, ওয়াকফ কৃত জমি ক্রয় বিক্রয় হয় কিনা? তিনি জানান হয় না।
মৃত আলহাজ্ব মহিউদ্দিনের পুত্র মাষ্টার মাহমুদুল হক সাফি জানান, আমরাও কিছু জমি ক্রয় করেছি, তা ওয়াকফ ষ্টেটের নিয়ম অনুযায়ীই ভোগ দখল করছি। জমির মোতাল্লী রয়েছেন, তাকে আমরা নিয়মিত খরচ দিয়ে আসিতেছি। এলাকার সর্ব সাধারণ জনগণ জানান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসা উচিৎ।