ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রুহিয়া খাদ্যগুদামে নিম্নমানের চাল সংরক্ষনের অভিযোগে গুদাম সিলগালা করেছে ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। বিষয়টি তদন্তে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিখিল চন্দ্র বর্মণকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন হয়েছে।
বুধবার (৮জুন) দুপুরে ঐ তদন্ত কমিটি গুদাম খতিয়ে দেখছেন। পরিদর্শনের সময় তদন্ত কমিটি জানায়, রুহিয়া খাদ্যগুদামে নিম্নমানের (পুরাতন) চাল সংরক্ষনের অভিযোগে ৭ জুন মঙ্গলবার গুদামের দুই নম্বর কক্ষটি সিলগালা করে ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ কর্মকর্তাগন। এরই প্রেক্ষিতে ঐ গুদামে মজুদ করা চার শতাধিক বস্তা চাল খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি। এসময় গুদামে নিম্নমানের (পুরাতন) চাল সংরক্ষনের সত্যতা পায়। তবে কত বস্তা নিম্নমানের (পুরাতন) চাল গুদামে মজুদ করা হয়েছে তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করা যাবে না বলে জানায় তদন্ত কমিটি।
কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রিয়াজুল ইসলাম, টেকনিক্যাল ইন্সপেক্টর জুলফিকার আলী, খাদ্য পরিদর্শক খলিলুর রহমান।
অভিযোগ অস্বীকার করে রুহিয়া খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, এটি নিয়মিত কাজের অংশ। গুদামে চাল নিম্নমানের আছে কিনা তা সন্দেহে সিলগালা করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটি তা পরিদর্শন করছেন। তবে চলতি মৌসুমে পুরাতন চাল কেন কিভাবে গুদামে মজুদ করা হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। পরিদর্শনের সময় স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, চলতি মৌসুমে গুদামে নতুন চাল সংরক্ষন করার কথা থাকলেও ফায়দা লুটতে নিম্নমানের পুরাতন চাল সংগ্রহ করেছেন গুদাম কর্মকর্তা। উল্লেখ যে, ১২ মে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ মানববন্ধন করলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় তিনি এমন সুযোগ নিয়েছে। অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম জানান, ৭ জুন মঙ্গলবার গুদাম পরিদর্শনে গিয়ে রুহিয়া খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল সংগ্রহের অভিযোগে গুদামটি সিলগালা করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়,তারা তদন্ত করছেন। বিস্তারিত তদন্তের পর জানা যাবে।
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে ঐ খাদ্য গুদামে ২ হাজার ১শ ৬৫ মেঃ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত ৮শ ৭৩ মেঃ টন চাল সংগ্রহ করে গুদাম কর্তৃপক্ষ।