অনলাইন ডেস্ক:
প্রেমের টানে মরিশাসের ডিগ্রিধারী তরুণী বাংলাদেশের কৃষকের সন্তান রাজমিস্ত্রীর ঘরে। ভাষা-সংস্কৃতি, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে বাংলাদেশি তরুণের প্রতি প্রেমের আকর্ষণে সুদূর মরিশাস থেকে ছুটে এসেছেন বিবি সোহেলা (২৬)।
বিয়ে করেছেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের কৃষক খবির ফকিরের ছেলে মুস্তাকিন ফকিরকে (৩২)।
বিদেশী তরুণী নতুন বউ হয়ে আসার খবরে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছে মুস্তাকিনের বাড়িতে। তবে অত্যন্ত পর্দানশীন এই বিদেশি বউ পরপুরুষের সামনে দেখা দেননি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইস শহরের এক মুসলিম পরিবারে জন্ম বিবি সোহেলার। সেখানকার একটি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। আর সেখান থেকেই পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণ মুস্তাকিনের সঙ্গে। ভিনদেশী বউ ঘরে আসায় খুশির আমেজ বিরাজ করছে মুস্তাকিনের পরিবারের মাঝে।
মুস্তাকিন জানান, তিনি মরিশাসে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। সেখানে তিন বছর পূর্বে কাজের সুবাদে পরিচয় বিবি সোহেলার সঙ্গে। টানা দুই বছর প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন তারা।
মুস্তাকিন আরও জানান, বিয়ের দেড় বছর পর গত ৪ জুন একমাসের জন্য তার স্ত্রী স্বামীর বাড়ি বেড়াতে বাংলাদেশের ফরিদপুরে এসেছেন। শনিবার সকালে মরিশাস থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন বিবি সোহেলা। পরে স্বামী মুস্তাকিন ও তার পরিবারের লোকেরা তাকে ফরিদপুরে গ্রামের বাড়ি রাধানগর গ্রামে নিয়ে আসেন।
এই ব্যাপারে মুস্তাকিনের বাবা খবির ফকির বলেন, তাদের সম্পর্ক ও বিয়ের ব্যাপারে তার ছেলে তাদেরকে আগেই জানিয়েছিল। পরে তারা পরিবারের সদস্যরা মিলে বিমানবন্দরে গিয়ে পুত্রবধূ সোহেলাকে গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাইমুদ্দিন মণ্ডল বলেন, বিষয়টি শুনেছি, তবে বিদেশি বউকে দেখতে যাওয়ার সময় পাইনি। সময় পেলে গিয়ে দেখে আসবো।