মোঃ মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও থেকে :
ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনে গাঁজার জমজমাট ব্যবসা হয়ে উঠেছে। বারবার তাদের আটক করেও এ ব্যবসা দমন করা যাচ্ছে না। পুলিশের তালিকায় রোড রেলস্টেশন, ফকিরপাড়া শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক মাদক স্পট রয়েছে। এর মধ্যে রোড রেলস্টেশন এক নাম্বারে এবং ২ শতাধিকেরও বেশি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে।
এ সব স্পট থেকে বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করলেও আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেড়িয়ে এসে পুনরায় এসব ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তবে অনেক রাঘব বোয়াল মাদক বিক্রেতারা বরাবরের মতোই ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবার কিছু অসাধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কমিশনের ভিত্তিতে তাদেরকে সুযোগ করে দেয়। সামনে কুরবানির ঈদ আর ঈদকে কেন্দ্র করে শহরে এখন মাদকের ছড়াছড়ি। ঈদকে ঘিরে নড়েচড়ে বসেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্পট দিয়ে আসছে মাদকদ্রব্য। মদ, ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। এর মধ্যে গাঁজার গডফাদার হলো ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশন ও ফকিরপাড়া।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শহরের নিশ্চিন্তপুর, আর্টগ্যালারী, বরুনাগাঁও, ঘাটপাড়া,মুন্সি পাড়া। আবার বিভিন্ন স্পটে হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল,ডান্ডু, ইয়াবাসহ নেশাজাতীয় ইনজেকশন বিক্রি হচ্ছে। এসব স্পটে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদক বিক্রি হয়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মাদকের মজুদ বাড়াচ্ছে মাদক কারবারীরা। ভারত থেকে লাখ লাখ টাকার মাদক সীমান্তের বিভিন্ন স্পট দিয়ে এপারে আসার পর বিভিন্ন এলাকায় তা সরবরাহ করছে মাদক বিক্রেতারা। মাদক বিক্রেতারা বিভিন্ন কৌশলে উপজেলা জুড়ে সক্রিয়। আর মাদকসেবীরা মাদকের টাকা যোগাড় করতে ওই সব এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত। বড় বাড়ি ও মুন্সিরহাট ১২ আউলিয়া এলাকায় ওপেন সকলের সামনে বাংলা মদ বিক্রি করছে।। ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশন ও ফকিরপাড়ায় রাস্তার উপরে প্রকাশ্যে গাঁজা ফেরী করে বিক্রি হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেছেন, এভাবে মাদকের ব্যবসা প্রকাশ্যে চলতে থাকলে ছেলে মেয়েদের মানুষ করা দুরূহ হয়ে পড়বে। সবাই অভিযোগ করেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।