ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ১৬ বছর বয়সী এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফুল মিয়া (৫৭) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে ঘোড়াঘাট পৌরসভার নুরজাহানপুর গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা কামাল হোসেন বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় নারী ও শিশু দমন আইনে একটি মামলা করে। একই দিন অপর এক গৃহবধূ ধর্ষন মামলার পলাতক আসামী গোলবাহার শেখ (৫৮) নামের এক বৃৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক ফুল মিয়া পৌর এলাকার চককাঁঠাল গ্রামের মৃত মিন্নত মিয়ার ছেলে এবং গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী গোলবাহার শেখ সিংড়া ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের মৃত কোমর উদ্দিন শেখের ছেলে।
প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলার এজাহার থেকে জানাযায়, আটক ফুল মিয়া নুরজাহানপুর গ্রামের সেনাবাহিনীর অবঃপ্রাপ্ত কর্পোরাল কামাল হোসেনের বাড়িতে গরুর রাখাল হিসেবে কাজ করত। মঙ্গলবার বাড়িতে শুধুমাত্র কামালের প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে এবং তার বৃদ্ধ মা বাড়িতে ছিল। কামাল হোসেন তার স্ত্রীর ও ছেলে সহ সৈয়দপুরে তার ছোট ভাইয়ের বউ হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য ছিল সেখানে দেখতে গিয়েছিল। আটক ফুল মিয়া দুপুর বেলা কৌশলে বাড়ি থেকে বাদী কামালের বৃদ্ধ মাকে পাশ্ববর্ত্তী বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে বাড়ির দুটি দরজা বন্ধ করে দেয় এবং বাড়িতে থাকা তার প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার প্রায় দেড় ঘন্টা পর প্রতিবন্ধী কিশোরীর চাচী নাজনীন নাজ হাসপাতালের কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে এবং তার প্রতিবন্ধী ভাতিজির আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে বাড়িতে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে। ফুটেজে দেখতে পান ফুলমিয়া ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে। পরে তিনি মুঠোফোনে বিষয়টি প্রতিবেশিদের জানায়। অপর দিকে পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগে উপজেলার সাতপাড়া গ্রামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং ধর্ষণের স্বীকার ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। পরে তিনি বাদী হয়ে গত মে মাসের ৯ তারিখে দিনাজপুর জেলার আদালতে গোলবাহার শেখের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করে। সে মামলায় আসামী গোলবাহার শেখ দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার দু’জন আসামীকে আজ বুধবার (২২ জুন) সকালে দিনাজপুরের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধষর্ণের ঘটনায় মেডিকেল টেস্টের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গৃহবধূ ধর্ষন মামলার পলাতক আসামী দীর্ঘদিন থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তাকে গ্রেফতার করি।