নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
বগুড়ায় যুমনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি এখনো হয়নি। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি বগুড়ার সারিয়াকান্দি মথুরাপাড়া পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার কমে বুধবার বিকেল ৩টায় বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তহমিনা আক্তার জানান, বন্যার কারনে জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৪১টি, সোনাতলায় ৪টি এবং ধুনটে ১৫টি সহ মোট ৬০টি প্রাইমারী স্কুল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু স্কুলের মাঠে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার হজরত আলী জানান, বন্যার কারনে জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৫টি, সোনাতলায় ৪২টি এবং ধুনটে ২টি সহ মোট ৯টি মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
এদিকে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) এনামুল হক জানান, জেলার বন্যা আক্রান্ত তিন উপজেলায় এপর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে আউশ ৫১০ হেক্টর, পাট ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর, সবজি ১৭ হেক্টর, ধানের বীজতলা ১ হেক্টর, ভুট্রা ৪ হেক্টর এবং আখ ৩ হেক্টর।
ত্রাণ ও দূর্যোগ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, এপর্যন্ত জেলার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১৬ হাজার ৭৮০টি পরিবারের ৭৮ হাজার ৪৪৮জন পানিপন্দী হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১১ হাজার ১৮০ পরিবারের ৫৬ হাজার ৭২০জন, সোনাতলায় ৫ হাজার ২০০ পরিবারের ২০ হাজার ১২৮জন এবং ধুনটের ৪০০ পরিবারের ১ হাজার ৬’শ জন মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছেন।
ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৪৫ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সারিয়াকান্দিতে ২০ মেট্রিক টনর চাল ও ৫ লক্ষ টাকা, সোনাতলায় ১৫ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লক্ষ টাকা এবং ধুনটে ১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২ লক্ষ টাকা। জেলা প্রশাসক জিয়াউর হক মঙ্গলবার বিকেলে সারিয়াকান্দি এবং বুধবার সকালে ধুনটের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।