অনলাইন ডেস্ক:
অধিনায়ক বদলেছে। কিন্তু দলের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি টাইগাররা। নেতৃত্ব ছেড়েও ফর্মে ফেরেননি মুমিনুল হক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে শূন্য আর চারের বৃত্তে আটকা পড়ে আছেন। ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও রানখরায় ভুগছেন বেশ কয়েকটি ইনিংসে।
শ্রীলংকা সিরিজে দাপুটে ব্যাট করা লিটন দাসও নিজের ছায়া থেকে বের হতে পারছেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে।
এদিকে মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতির ধাক্কা বেশ টের পাচ্ছে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস লম্বা করতে পারছেন না।
এমন পরিস্থিতি নিয়েই আজ সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিকদের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ।
অ্যান্টিগায় বোলাররা ভালো করলেও ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাটাররা।
দারুণ বল করেছেন তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজও।
ভাগ্য ফেরানোর চেষ্টায় সেটিই বড় পুঁজি সাকিব আল হাসানের। এর পরও ব্যাটে রান না এলে স্বল্প সংগ্রহ দিয়ে শুধু লড়াই চালিয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু জেতা যায় না।
বিষয়টি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন অধিনায়ক সাকিব। কিন্তু তিনি ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজে আর কারও ব্যাট ছুঁয়ে বড় পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস আসেনি। কেবল উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন শেষ ইনিংসে।
গুঞ্জন আছে, সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে টাইগারদের। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও তেমনই ইঙ্গিত দিলেন।
শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমাদের মাথায়ও কিছু (পরিবর্তনের) চিন্তাভাবনা আছে। আজকের ট্রেনিং শেষ হলে আমরা বসে একটা মিটিং করে টিম ডিসাইড করব। আমাদের ইচ্ছা আছে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া, যাতে সবাই জানে যে কারা খেলছে আর কারা খেলছে না।’
দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। চোটের কারণে সফর থেকেই ছিটকে গেছেন ইয়াসির আলি রাব্বি। সেই সুযোগে কপাল খুলেছে বিজয়ের।
এদিকে মোস্তাফিজকে সাদা বলের দুই সিরিজের কথা ভেবে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে। সে ক্ষেত্রে চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরতে পারেন শরিফুল ইসলাম।
একনজরে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হাসান শান্ত, মুমিনুল হক, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, এনামুল হক বিজয়, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ।