ঘোড়াড়াট ( দিনাজপুর ) প্রতিনিধিঃ
গত শনিবার (১৮ জুন) দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে নিখোঁজ হয় মকবুল হোসেন (৬৫) নামের এক ব্যক্তি। ওই দিন রাতে সে উপজেলার পালশা ইউপির ধাওয়া-মাঝিয়ান গ্রামের একটি খাল থেকে মাছ ধরতে গিয়েছিল। মকবুল উপজেলার ধাওয়া মাঝিয়ান গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে।
এই ঘটনায় একইদিন নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির ছেলে জায়বর আলী ঘোড়াঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। অপহরণের ৩ দিন পর গত মঙ্গলবার নিখোঁজ ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে তার ছেলে ও প্রতিবেশী এক ভাইয়ের ফোনে কল করে অপহরণকারীরা এবং তারা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে নিখোঁজ ব্যক্তির ছেলে মুক্তিপণের ৫ লাখ টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উপজেলার ঢেউয়াপাড়া গ্রামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় যায়। সেখানে আগে থেকেই ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের পৃথক কয়েকটি দল সাদা পোশাকে অবস্থান নেয় এবং মুক্তিপণের টাকা গ্রহণের সময় হায়বর আলী (৬২) নামের এক অপহরণকারীকে আটক করে। আটক হায়বর আলী (৬২) একই ইউনিয়নের বামনগড়া-আধাটিকা গ্রামের মৃত আমান উল্লার ছেলে। পরে আটক হায়বরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢেউয়াপাড়া গ্রামে মসজিদ সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে আটকে রাখা অবস্থায় নিখোঁজ মকবুল হোসেনকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর বৃহস্পতিবার রাতেই নিখোঁজ মকবুলের ছেলে জায়বর আলী বাদী হয়ে অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা করে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির বলেন, থানায় নিখোঁজ হওয়ার জিডি করার পর থেকেই নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে আমরা কাজ শুরু করি। এরই এক পর্যায়ে নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। আমাদের পরামর্শে তার পরিবার অপহরণকারীদেরকে মুক্তিপণের টাকা দিতে রাজি হয় এবং অপহরণকারীদের দেওয়া লোকেশন অনুযায়ী টাকা হস্তান্তর করতে যায়। তিনি আরো বলেন, আমাদেরও একাধিক দল ছদ্মবেশ ধারণ করে ওই এলাকা ঘিরে রাখে। এর এক পর্যায়ে আমরা একজন অপহরণকারীকে আটক করতে সক্ষম হই। বাকিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আসামীকে ২৪ জুন (শুক্রবার) সকালে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা রিমান্ডের আবেদন করেছি।