আজিজার রহমান, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর):
পাট একটি বর্ষাকালীন ফসল। বাংলাদেশে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। পাট বাংলার ও পশ্চিম বঙ্গের শত বছরের ঐতিহ্য। পাট বৃষ্টি নির্ভর ফসল। পাট পরিবেশ বান্ধব, বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য আঁশ । শিল্প বিপ্লবের সময় ফ্লাক্স এবং হেম্প এর স্থান দখল করে পাটের যাত্রা শুরু। বস্তা তৈরির ক্ষেত্রে পাট এখনও গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও বর্তমানে পাটের বহুবিধ ব্যবহার শুরু হয়েছে যা প্রশংসার দাবিদার। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ঘোড়াঘাটে সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষকেরা। পূর্ব লক্ষ্যমাত্রা থেকে এবার বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবছর ভালো বৃষ্টিপাত ও সারের সঙ্কট না থাকায় বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষকরা। তবে বর্তমানে অনাবৃষ্টির কারনে পাট জাগ দেওয়ার সমস্যা হচ্ছে বলে তারা জানান।
কৃষক আনিছার রহমান জানান, তিনি এবছর ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেন। প্রতি বিঘাতে প্রায় ৮ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হবে বলে তার আশা। এখন পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। আরেক চাষি মোঃ ওমর আলী বলেন, আগে অনেকেই পাট চাষ করতো। মাঝে আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশ ও পাটের সঠিক দাম না থাকায় অনেকেই চাষ করতে চাইতো না। এখনো পাট চাষের আগ্রহ বাড়ছে। পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হলে পাট চাষির সংখ্যা আরো বাড়বে।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, এবছর উপজেলায় পূর্বের তুলনায় জমিতে পাট চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দেশি ও তোষা জাতের পাট রয়েছে। পাটের সঠিক মূল্য পেলে ধীরে ধীরে বাড়বে পাটের চাষ। তিনি আরো বলেন,কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এবার পাটের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছে পাট চাষিরা এবং পরবর্তীতেও কৃষি বিভাগ পাট চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান।