ঘোড়াঘাট ( দিনাজপুর ) প্রতিনিধিঃ
ঘোড়াঘাটের-ইউএনওকে-হত্যাচেষ্টার-রায়-৩-মাসের মধ্যে। আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা মামলার বিচার ৩ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে আদালত। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সাবেক ওসি ইমাম জাফর ও এসআই সাইফুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দিলেই এই বিচার কার্যক্রম শেষ। এরপর যুক্তিতর্ক শেষে রায় হবে।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ৩ মাসের মধ্যে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। দিনাজপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এ কে এম মঈনউদ্দিন সিদ্দিকী রোববার দুপুরে বাদী ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবীদের এ কথা জানান। আলোচিত এই মামলায় ঘোড়াঘাট থানার তৎকালীন দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তিনি বিচার কাজের অগ্রগতি বিষয়ে বলেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) ইকবাল রায়হান সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ করতে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারক। এই মামলার সাক্ষী পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর ও এসআই সাইফুল ইসলাম ২৪ জুলাই সাক্ষ্য দেবেন।
দিনাজপুর আদালত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, রোববার দুপুরে মামলায় ঘোড়াঘাট থানার তৎকালীন দুই ওসি আমিরুল ইসলাম ও আজিম উদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষের দিকে। তিনি আরও জানান, এখন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সাবেক ওসি ইমাম জাফর ও এসআই সাইফুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দিলেই এই বিচার কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর যুক্তিতর্ক শেষে রায়। এই মামলায় ৬১ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছিল।
সব শেষে মামলার দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেয়া হলেই রায়ের দিন ঠিক করবেন বিচারক। ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে সরকারি ডাকবাংলোতে ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় তাদেরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে হেলিকপ্টারে ঢাকার জাতীয় নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা বেশ কয়েকজনকে আটক করে। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে ও ঘোড়াঘাটের ইউএনওর বাসভবনের সাবেক কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আমলি আদালত-৭-এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের কাছে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন রবিউল। ২১ নভেম্বর দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।