অনলাইন ডেস্ক:
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা ছাড়াই কার্যনির্বাহী কমিটির সাঁটানো নেমপ্লেট অপসারণ করতে গেলে আওয়ামী লীগ-বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। একপর্যায়ে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে। এ সময় উভয় পক্ষের ১০/১৫জন আহতের ঘটনা ঘটে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নেমপ্লেট অপসারণ করতে আসা আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীরা ফলাফল ঘোষণা ছাড়াই মঙ্গলবার রাতের আঁধারে নেমপ্লেট সাঁটিয়ে দেয়। আমরা আজ তা অপসারণ করতে গেলে তারা আমাদের ওপরে হামলা করে। আমাদের নারী আইনজীবীসহ বেশ কয়েকজন তাদের হামলায় আহত হয়। আমাদের এক নারী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মলিকে মারধর করে আহত করা হয়।
তারা আরও বলেন, ফলাফল ঘোষণা ছাড়া নেমপ্লেট সাঁটিয়ে তারা আইনবহির্ভূত কাজ করেছেন। অপরদিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলেন, গত কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ। ওই কমিটির লোকজনও রুমগুলো খালি করে দিয়েছেন। যারা পাস করেছেন তাদের নেমপ্লেট লাগানো হয়েছে। কিন্তু তারা অযাচিতভাবে হাতুড়ি দিয়ে নেমপ্লেটগুলো ভেঙে ফেলে। আমরা বারণ করতে গেলে আমাদের ওপরে তারা অতর্কিত হামলা করে। আয়শা নামের আমাদের এক আইনজীবীকে বেধড়ক মারধর করে তারা।
এর আগে, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা ছাড়াই কার্যনির্বাহী কমিটির নেমপ্লেট সাঁটায় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা। এরপর নেমপ্লেট লাগানো নিয়ে ফেসবুকে চলে দুই পক্ষের আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি পোস্ট। বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা নেমপ্লেট লাগানোদের ‘নির্বাচিত’ বলে ফেসবুকে অভিনন্দন জানায়। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা রাতের আঁধারে নেমপ্লেট লাগানোকে স্বৈরাচারী ও পদ জবরদখল বলে ফেসবুকে সোচ্চার হন।
নেমপ্লেট লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটা হয়তো হয়নি, তবে ওইদিন গণনার পর ফলাফল তো সবারই জানা। আর বিগত কমিটি গত বছরের ১১ই এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করে সে হিসেবেই ১২ই এপ্রিল অনেকে নেমপ্লেট লাগিয়ে দায়িত্ব শুরু করেছেন। আর আমি তো আগে থেকেই আছি। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাদা প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী আবদুন নূর দুলাল বলেন, আমাদের প্যানেলের সভাপতি ও সহ-সভাপতি প্রার্থীদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আমাকে বলেছে তাদের নামের নেমপ্লেট লাগানের বিষয়ে তারা নিজেরাই কিছু জানেন না। এমনকি এ বিষয়ে তাদের থেকে কোনো সম্মতিও নেয়া হয়নি। আমরা এর বিরুদ্ধে অবশ্যই আইন মেনেই পদক্ষেপ নেবো। ‘ফ্রেশ কাউন্টিং’ হয়েই ফল ঘোষণা হতে হবে।
এরপর বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।