শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর শোভাযাত্রা এবার সশরীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বগুড়ার শেরপুরে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পহেলা বৈশাখ ১৪২৯ পালিত হয়েছে। শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের স্লোগান হচ্ছে- ‘নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবার সকাল ১০টায় শেরপুর উপজেলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। বাদ্যযন্ত্রের তালে নানা ধরনের বাঁশ-কাগজের তৈরি ভাস্কর্য, মুখোশ হাতে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শেরপুর প্রেসক্লাবও তাদের নিজস্ব ব্যানারে এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রাটি উপজেলা চত্বর থেকে যাত্রা শুরু করে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা প্রদক্ষিণ করে আবারো উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।
সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ময়নুল ইসলাম, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো শহিদুল ইসলাম, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ জানে আলম খোকা, সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার, উপজেলা আওয়ামিলীগের সহ সভাপতি ও সাপ্তাহিক আজকের শেরপুর পত্রিকার সম্পাদক মুন্সী সাইফুল বারী ডাবলু, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ শাহজামাল সিরাজী, উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, সাপ্তাহিক তথ্যমালা পত্রিকার সম্পাদক সুজিত কুমার বসাক, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো. রায়হান পিএএ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামসুন্নাহার শিউলি, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুবির কুমার পাল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মোসাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা রিসোর্স ইন্সট্রাক্টর সাইদুর রহমান, শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মামুন-এ-কাইয়ুম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওবায়দুল হক। এছাড়াও উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষার্থী, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ।
উল্লেখ্য, গত তিন দশক ধরে রাজধানীতে পয়লা বৈশাখে চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হচ্ছে। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় এই শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের মেলবন্ধনের মাধ্যমে কূপম-ূকতা ও সংকীর্ণতার ঘৃণ্য অবয়বের ওপর সাংস্কৃতিক আঘাত হিসেবে দেখা হয়ে থাকে।