অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশ পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস বন্ধ করতেই নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপে। ইতোমধ্যেই রাশিয়ার শর্ত মেনেই জ্বালানি কেনার জন্য বেশ কিছু ইউরোপীয় জ্বালানি সংস্থা সক্রিয় হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জার্মানি এবং অস্ট্রিয়ার মতো দেশের সংস্থা।
ডলার বা ইউরো নয়, রুশ জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থা গ্যাজপ্রম ইতোমধ্যেই জানিয়েছে, মস্কোর সহযোগী নয় এমন দেশগুলোকে তেল ক্রয় করতে হলে দাম মেটাতে হবে রুবলে। সেজন্য গ্যাজপ্রমের ব্যাংকে পৃথক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। জার্মান সংস্থা ইউনিপার জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই ইউরোপে একটি রুশ ব্যাংকের শাখায় তারা অ্যাকাউন্ট খুলছে। তার মাধ্যমেই জ্বালানির দাম পরিশোধ করা হবে। একই বার্তা দিয়েছে অস্ট্রিয়ার জ্বালানি সংস্থা এমভিজেএফ।
এর আগে বুধবার গ্যাজপ্রম জানায়, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া জ্বালানির দাম রুবলে দিতে পারেনি বলেই ওই দুই দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ইতালির একটি জ্বালানি সংস্থাও রুবলে দাম পরিশোধের জন্য রুশ ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে বলে ইউরোপের কয়েকটি গণমাধ্যম দাবি করেছে।
বৃহস্পতিবার মস্কো জানিয়েছিল, জ্বালানির দাম মেটানোর জন্য ইউরোপের অন্তত ১০টি কোম্পানি রুশ জ্বালানি সংস্থা গ্যাজপ্রমের ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে।
ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদে রাশিয়াকে বাণিজ্যিক এবং সামাজিকভাবে বয়কট করার ডাক দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো। সেই দেশলোর বিভিন্ন সংস্থা রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। রাশিয়ার ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর প্রক্রিয়াও চলছে।
এদিকে বিশ্ববাসীর কাছে রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে আহ্বান জানিয়ে আসছে পশ্চিমারা। এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের একের পর এক দেশ রাশিয়া থেকে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে পুতিনের শর্ত মেনে নেয়ায় ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞা দুর্বল হয়ে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : আনন্দবাজার