মোঃ মোনায়েম হোসাইন, নওগাঁ :
নওগাঁর মান্দায় সাদিয়া আক্তার (৭) নামের প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ভালাইন ইউনিয়নের নিম বাড়িয়া গ্রামে এ পাশবিক হত্যাকান্ডপূর্বক ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নিহত সাদিয়া স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও সায়ের উদ্দিনের মেয়ে। ঘটনায় রাতেই প্রতিবেশী আমিনুর ইসলামের ছেলে অভিযুক্ত জুয়েল হোসেন (১৭) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
এঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে তাদের গ্রামের মোহাম্মদের ছেলে আবদুলের বাড়ির খলিয়ানে একটি ইফতার ও দোয়ার অনুষ্ঠান চলছিল। এ অনুষ্ঠানে নিহত ছাত্রীর বাবা-মা বিভিন্ন কাজ-কর্মে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। তাদের কাছে থেকে তাদের মেয়ে একটু দূরে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা-ধুলা করছিল। হঠাৎ করে বিকেল ৩ টার দিক থেকে নিহতের বাবা-মা তাদের সন্তানকে দেখতে না পেয়ে সম্ভব্য সবখানে খোঁজ করতে থাকেন। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে অনুষ্ঠান বাড়ির পার্শে বাঁশঝাড়ের এক স্থানে আবর্জনা দিয়ে ঢাকা কিছু দেখে তাৎক্ষণিক ভাবে সেই আবর্জনা সরিয়ে শিশুটির বিবস্ত্র লাশ দেখতে পান স্থায়ীয়রা।তাৎক্ষণিক তারা ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানা পুলিশ রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান শাহিন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, থানায় মামলা দায়ের করা হলে ঘটনায় জড়িত থাকায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী জুয়েলকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জুয়েল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।